ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সদস্য প্রতিষ্ঠান লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেডে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ও অর্থের ঘাটতি রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে বিনিয়োগকারীদের পাঁচ কোটি ৭২ লাখ ৪৪ হাজার ৩১১ টাকার শেয়ার ও অর্থের ঘাটতি রয়েছে। শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।নিয়ম অনুযায়ি, বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতারণা করে এমন ঘাটতি তৈরি করার কারণে প্রতিষ্ঠানটি দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের সাতটি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী বিনিয়োগকারীদের সমন্বিত হিসাবে অর্থ ও ডিপিতে শেয়ার ঘাটতি সমন্বয় না করা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ট্রেকহোল্ডার কোম্পানির বিরুদ্ধে সিকিউরিটি এন্ড এডসেন্স আইন ১৯৬৯ এর সেকশন ২০(এ) অনুযায়ী এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এই বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ডিএসইর মনিটরিং অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স ডিপার্টম্যান্ট থেকে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চিঠি পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিএসইসির এসআরআই ডিপার্টম্যান্ট, ডিএসই এমডি, সিডিবিএলসহ সংশ্লিষ্ট ডিপার্টম্যান্টে পাঠানো হয়েছে।এর আগে গত ২২ মার্চ বাংলাদেশ সিকিউরিটি ইস এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়েত উল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। যা অবিলম্বে কার্যকরে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জ এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ অর্থ ও শেয়ার ঘাটতি থাকার কারণে আইপিও কোটা বাতিলসহ সাতটি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। এরমধ্যে মার্জিন রেগুলেশনের ফ্রি লিমিট সুবিধা থেকেও প্রতিষ্ঠানটি বঞ্চিত হবে।এছাড়া সংশ্লিষ্ট স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে মালিকানার বিপরীতে ডিভিডেন্ড প্রাপ্তি, আইপিও/কিউআইও কোটা, ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি ও ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীর (ডিপি) নিবন্ধন সনদ নবায়ন ও নতুন শাখা বা ডিজিটাল বুথ খোলার সুবিধা স্থগিত থাকবে।এর বাইরে ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের অর্থ ও সিকিউরিটিজ ঘাটতি সমন্বয়ের পর ন্যূণতম ১ বছর সংশ্লিষ্ট স্টক এক্সচেঞ্জ বিশেষ তদারকি করবে বলে নির্দেশনায় জানানো হয়েছে। এছাড়া প্রতিমাসে দুইবার সমন্বিত গ্রাহক হিসাব ও ডিপি-তে থাকা সিকিউরিটিজ যাচাই করা হবে।