যে উদ্যোগে ঘুরে দাঁড়াতে পারে শেয়ারবাজার
শেয়ারবাজারে পতন ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত ২৮ জুলাই দ্বিতীয় দফা ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে। ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেওয়ার পর কয়েকদিনের জন্য বেশিরভাগ শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইসের গন্ডি অতিক্রম করলেও ধীরে ধীরে ফ্লোর প্রাইসের তালিকা বড় হতে থাকে। এক পর্যায়ে ফ্লোর প্রাইসের কোম্পানির পাল্লা ভারি হয়ে যায়। এই সময়ে ফ্লোর প্রাইসের ওপরে লেনদেন হওয়ার কোম্পানি হাতে গোনা তালিকায় রূপান্তর হয়।কিন্তু তারপরও শেয়ারবাজারে উত্থান অব্যাহত থাকে। অব্যাহত থাকে লেনদেনের পরিমাণ। যদি হাতে গোনা গুটি কয়েক কোম্পানির কারণে শেয়ারবাজার ছিলো উর্ধ্বমূখী। এই উর্ধ্বমূখী শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়েছিল প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। আর সূচক ৫ হাজার ৯৮০ পয়েন্ট থেকে উঠেছিল ৬ হাজার ৬০০ পয়েন্টে। কিন্তু সূচক ও লেনদেনের এমন উর্ধ্বগতি হঠাৎ কমে যাওয়ার মূল কারণ কি? এমন প্রশ্ন সাধারণ বিনিয়োগকারীদের।বিনিয়োগকারীরা বলছেন, ওরিয়ন গ্রুপের চার কোম্পানি, মনোস্পুল পেপার, পেপার প্রসেসিং, ইস্টার্ণ হাউজিং, এডিএন টেলিকমসহ চিহ্নিত কোম্পানিগুলোর শেয়ার হঠাৎ ফ্লোর প্রাইসের দিকে ধাবিত হওয়ার মূল কারণ কি। এই কোম্পানিগুলোর শেয়ার কিছু নির্দিষ্ট চক্র সেচ্ছায় ফ্লোরে নামাচ্ছে?এসব কোম্পানির শেয়ারদর ফ্লোরের দিকে যাওয়ায় শেয়ারবাজারে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। আতঙ্কের কারণে শেয়ারবাজারে দরপতন অব্যাহত রয়েছে। এর আগে ফ্লোরের দাম নির্ধারণের সময়ও এ ধরনের আতঙ্ক দেখা যায়নি। যা বর্তমানে শেয়ারবাজারে দৃশ্যমান। এসব কোম্পানি থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার দাবি তুলছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।তারা বলছেন, এসব কোম্পানির শেয়ার থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নিলে কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম কমবে না। কারণ এই শেয়ারগুলিতে বড় রাগব-বোয়ালরা রয়েছে। যা বিএসইসির মনিটরিং বিভাগ তদন্তের পর বুঝতে পারবে। এই শেয়ারগুলি শেয়ারবাজারের গতিপথকে উল্টিয়ে দিতে পারে। যা অন্যান্য শেয়ারের জন্যও আশীর্বাদ হিসেবে কাজ করতে পারে।বিনিয়োগকারীরা আরও বলছেন, শেয়ারবাজার ঠিক করতে হলে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে কিছু দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। গত কয়েকদিনের লাগাতার দরপতনের কারণে মার্জিন ঋণের বিনিয়োগকারীদের মূলধনের ২০-৪০ শতাংশ হারিয়ে গেছে।যদি বাজারে ফোর্স সেল শুরু হয়, তাহলে অবস্থা আরও বেগতিক হবে। কারণ এতে করে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তাদের সব পুঁজি হারিয়ে পথে বসবে। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীর বাজারে থাকতে ও নতুন করে আসতে ভয় পাবে। বিশ্লেষকরাও মনে করেন, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বাজারে না থাকলে শেয়ারবাজারের প্রাণ বলে কিছু থাকবে না।