যে কারণে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারে বড় ধরনের বিনিয়োগ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ১৪৫ কোটি টাকার বেশি মূল্যমানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। অর্থাৎ একটি অংশ শেয়ারটি বেচেছে আর আরেকটি অংশ তা কিনে বিনিয়োগ করেছে। যার মাধ্যমে আলোচ্য সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সর্বোচ্চ লেনদেন তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কোম্পানিটি।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মোট ১ কোটি ৩১ লাখ ৯৬ হাজার ৫৭৯টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১৪৫ কোটি ৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ১৪ শতাংশ।সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির জীবন বীমা তহবিলের আকার ২ কোটি ৬৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩১ কোটি ১০ লাখ টাকায়। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ তহবিলের আকার ২ কোটি ৭১ লাখ ৭০ হাজার টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৫০৭ কোটি ৮২ লাখ ৪০ হাজার টাকায়। আর সর্বশেষ তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির জীবন বীমা তহবিল বেড়েছে ৭৬ লাখ টাকা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা বেড়েছিল ৯৪ লাখ ১০ হাজার টাকা।বাজার বিশ্লেষকরা বলেছেন, রূপালী ইন্স্যুরেন্সের তহবিল বাড়ার এ খবরকে কেন্দ্র করেই কিছু সংখ্যক বিনিয়োগকারী শেয়ারটিতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। আর প্রতিষ্ঠানটির লভ্যাংশ ঘোষণাকে কেন্দ্র করেও কেউ কেউ শেয়ারটি কিনেছেন।৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এর আগের ২০২০ হিসাব বছরের জন্য মোট ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। এর মধ্যে ১৩ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ছিল। ২০১৯ হিসাব বছরে কোম্পানিটি মোট ১৪ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর মধ্যে ১২ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ছিল। কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন। তার আগের হিসাব বছরে ৮ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ৪ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রূপালী লাইফের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৩ কোটি ১৪ হাজার ২৩৬। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৯ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ ও বাকি ৪৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।