ভ্রমণ খাতে উত্থান
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস গতকাল সামান্য বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। সেই সঙ্গে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটির শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এবং বড় উত্থান হয়েছে। এরপর দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিমা খাতের শেয়ার। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ এবং সেবা ও আবাসন খাত। অপরদিকে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো পাট খাতের শেয়ারদর কমেছে সবচেয়ে বেশি। আগের দুদিন খাতটি শেয়ারদর কমার দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে।বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ভ্রমণ খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। এদিন খাতটিত মোট ৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ২টির দর বেড়েছে এবং ২টির অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিমা খাতে দর বেড়েছে দশমিক ৯০ শতাংশ। খাতটিতে মোট ৫৬টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৮টির দর বেড়েছে এবং ৩০টির কমেছে ও বাকিগুলোর অপরিবর্তিত ছিল। দশমিক ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে কাগজ খাত তৃতীয় স্থানে ছিল। এ খাতে লেনদেনে ৬টি কোম্পানির মধ্যে ১টি দর বেড়েছে এবং ২টির অপরিবর্তিত ছিল। চতুর্থ স্থানে থাকা সেবা খাতে দর বেড়েছে দশমিক ৫০ শতাংশ। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, সিমেন্ট, আর্থিক, মিউচুয়াল ফান্ড, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং ট্যানারি খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় পাট খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ১ শতাংশ। এরপর দর বেশি কমেছে সিরামিক খাতের শেয়ারে। খাতটিতে দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে তৃতীয় স্থানে ছিল খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, বস্ত্র, ব্যাংক এবং প্রকৌশলী খাত। অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২১ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন হওয়া জীবন বিমা খাত রয়েছে তৃতীয় স্থানে। চতুর্থ স্থানে থাকা বিবিধ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২০৯ দশমিক ৫২ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক দশমিক ৪৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৩ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১ দশমিক ১৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৩৫৭ দশমিক ৬৯ পয়েন্টে এবং ২১৯৮ দশমিক ৭৬ পয়েন্টে।ডিএসইতে ৫৩২ কোটি ৪২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে; যা আগের কার্যদিবস থেকে ৬৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা বেশি। এর আগের কার্যদিবস ১২৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বেড়ে লেনদেন হয়েছিল ৪৬২ কোটি ৫২ লাখ টাকার। ডিএসইতে ৩৩৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ৪০টির বা ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশের, শেয়ারদর কমেছে ১২৭টির বা ৩৮ দশমিক ০২ শতাংশের এবং ১৬৭টির বা ৫০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত রয়েছে।অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৯ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বা দশমিক ১১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮৩২৭ দশমিক ৭৯ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৩৩টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৫টির দর বেড়েছে, কমেছে ৪৮টির আর ৬০টির দর অপরিবর্তিত ছিল। সিএসইতে ১৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।