ভ্রমণ খাত চাহিদার শীর্ষেই
দেশের পুঁজিবাজারে সূচক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস গতকাল বুধবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকালও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল ভ্রমণ খাতের শেয়ারে। এ নিয়ে টানা চার কার্যদিবস উত্থান হয়েছে এ খাতে। এদিন খাতটির শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এরপর দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিমা খাতের শেয়ার। দর বৃদ্ধির দিক থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ এবং ট্যানারি খাতের শেয়ার। অপরদিকে পাট খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে।বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ভ্রমণ খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ২ দশমিক ৮০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ২টির দর বেড়েছে এবং ২টি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। এরপরের অবস্থানে থাকা বিমা খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ৭০ শতাংশ। এদিন বিমা খাতে মোট ৫৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ১৭টির দর বেড়েছে এবং ৩২টির দর কমেছে। তৃতীয় স্থানে থাকা কাগজ খাতের দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ। কাগজ খাতে লেনদেন হওয়া ৬টি কোম্পানির মধ্যে ১টির দর বেড়েছে এবং ৩টির দর কমেছে। শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ দর বৃদ্ধি পেয়ে ট্যানারি খাত ছিল চতুর্থ স্থানে। ট্যানারি খাতে লেনদেন হওয়া ৬টি কোম্পানির মধ্যে ১টির দর বেড়েছে এবং ৩টির কমেছে। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, মিউচুয়াল ফান্ড, ব্যাংক, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, সিরামিক, সিমেন্ট এবং প্রকৌশলী খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় পাট খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ার দর কমেছে ১ শতাংশ। এরপর স্থানে থাকা বিবিধ খাতে শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল বস্ত্র খাত।অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৪ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২০ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৭ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হওয়া বিবিধ খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২৯৩ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক শূন্য দশমিক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৩৭২ পয়েন্টে এবং ২২২৯ পয়েন্টে।এদিন ডিএসইতে ৭৩৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার ও সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬০৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকার। এ হিসাবে ১২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার বা ২১ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে। ডিএসইতে ৩৪৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ৩৮টির বা ১০ দশমিক ৯৮ শতাংশের, শেয়ারদর কমেছে ১২৯টির বা ৩৭ দশমিক ২৮ শতাংশের এবং ১৭৯টির বা ৫১ দশমিক ৭৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৫৭৬ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৭৪টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৬টির দর বেড়েছে, কমেছে ৬৮টির এবং ৭০টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১২ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।