উৎপাদনে আসছে পিটিএলের সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল পিএলসি (পিটিএল) এবং ডাইনামিক সান এনার্জির যৌথ প্রতিষ্ঠান ডাইনামিক সান এনার্জি সোলার প্ল্যান্ট আগামী দুই মাসের মধ্যে বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।পাবনা জেলার সদর উপজেলায় ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সোলার প্ল্যান্টটির ৪৯ শতাংশের অংশীদার পিটিএল। প্রকল্পটির ৯০ শতাংশের বেশি কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। প্ল্যান্টটির উৎপাদন শুরু করার জন্য পিটিএল ও ডাইনামিক সান এনার্জি কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) মাধ্যমে সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছে।বিপিডিবি সূত্রে জানা যায়, ১০০ মেগাওয়াটের সোলার পাওয়ার প্ল্যান্টটির উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডের মাধ্যমে সারাদেশে সরবরাহ করা হবে। উৎপাদন শুরুর পর থেকে ২০ বছর পর্যন্ত কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ কিনবে সরকার।ইন্ট্রাকো সোলার প্ল্যান্টএর আগে গত বছর লালমনিরহাটের কালিগঞ্জে ৩০ মেগাওয়াটের ন্ট্রাকো সোলার প্ল্যান্ট চালু করে পিটিএল। ২০১৬ সালের ১৮ এপ্রিল কোম্পানিটিকে প্ল্যান্ট নির্মাণ করতে ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ (এলওআই) দেওয়া হয়। পিডিবির সাথে কোম্পানিটি ২০১৭ সালের ২৭ আগস্ট বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) করে। ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার কোম্পানিরও ৮০ শতাংশ শেয়ারের মালিক পিটিএল।আর্থিক প্রতিবেদনচলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই মুনাফার প্রবৃদ্ধিতে রয়েছে পিটিএল। প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৬২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৪৫ পয়সা।দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২২) ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৩৬ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৫২ পয়সা। অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর’২২) ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৯৮ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৯৭ পয়সা।তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৩) ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৯৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ৯৫ পয়সা। অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২২-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৯২ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ৯২ পয়সা।লেনদেনে ঝলকদীর্ঘদিন কোম্পানিটির শেয়ার ৭৭ টাকা ফ্লোর প্রাইসে বন্দী ছিল। গেল সপ্তাহের আগে কোম্পানিটির শেয়ার নামেমাত্র লেনদেন হয়েছে। গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার শেয়ার। আলোচ্য সময়ে সিংহভাগ সময়জুড়ে লেনদেন হয়েছে হাজারের নিচে। গেল সপ্তাহে মুনাফা প্রবৃদ্ধি এবং সোলার প্ল্যান্ট উৎপাদনের খবরে কোম্পানিটির শেয়ারে নতুন করে ঝলক দেখা যায়। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন হয় ৯ হাজার ৫৬৭টি শেয়ার। সোমবার থেকে দেখা যায় বড় লেনদেন। সোমবার লেনদেন হয়েছে ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৭৫টি শেয়ার, মঙ্গলবার ২৪ লাখ ৮৮ হাজার ৯৫৭টি শেয়ার, বুধবার ২১ লাখ ৭৭ হাজার ২৮৫টি শেয়ার এবং বৃহস্পতিবার (১৮ মে) লেনদেন হয়েছে ১৩ লাখ ০৬ হাজার ১০৮টি শেয়ার। এই শেয়ারটি ফ্লোর প্রাইস ৭৭ টাকা থেকে ৮১ টাকায় লেনদেন হয়।বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানিটির শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘদিন আটক রয়েছেন। ফ্লোর প্রাইস ভাঙ্গার পর সাধারণ বিনিয়োগকারীরা শেয়ারটি ছেড়ে দিয়ে অন্য শেয়ারে ঢুকছেন। বিপরীতে বড় বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ মূল্য আয় অনুপাতের (পিই রেশিও) শেয়ারটি ফ্লোর প্রাইসের কাছাকাছি দামে তুলে নিচ্ছেন। শেয়ারটির বর্তমান পিই রেশিও ৯.৭৬ পয়েন্ট। এটি শেয়ারবাজারে উৎপাদন খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন পিইর শেয়ার।