উত্থানের দিনে ইন্ট্রাকো সিএনজি গেল উল্টো পথে
আজ সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৫.৭৬ পয়েন্ট উত্থান হয়েছে। পাশাপাশি লেনদেনও বেড়েছে প্রায় দুই শত কোটি টাকার কাছাকাছি। এমন বিশাল উত্থানের দিনে জ্বালানি খাতের ইন্ট্রাকো সিএনজির বিশাল লেনদেন হয়ে শীর্ষ লেনদেনের অষ্টম অবস্থান ধরে রেখেও সংশোধন হলো।ইন্ট্রাকো সিএনজি শীর্ষ লেনদেনের অষ্টম স্থান ধরে রাখে। আজ কোম্পানিটির ৪৯ লাখ ৮৪ হাজার ১০৪টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২০ কোটি ১৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। আগেরদিন সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪০ টাকা ৪০ পয়সা। আজ সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে দর হয়েছে ৪০ টাকা ৩০ পয়সায়। এই হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ার দর দর ১০ পয়সা বা ০.২৫ শতাংশ কমেছে।শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং স্টেশনের বোর্ড সভা গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ৫টি অটো গ্যাস স্টেশনে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ায় শেয়ারটি। উৎপাদনের খবরে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ থাকায় শেয়ারদর এবং লেনদেনে বড় উল্লম্ফন দেখা গিয়েছিল। এরপর থেকে কোম্পানিটি বিশাল ভলিউমে লেনদেন হলেও দর বৃদ্ধিতে এগুতে পারেনি।কোম্পানিটির গত এক বাজার দর পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৪৬ টাকা ২০। এরপর আজ ২১ কার্যদিবস পর শেয়ারটির দর নিম্নমুখি রয়ে গেল। দিন শেষে আজ ক্লোজিং প্রাইস হয় ৪০ টাকা ৩০ পয়সা। এই হিসাবে শেয়ারটির দর কমেছে ৫ টাকা ৯০ পয়সা বা ১২.৭৭ শতাংশ।উৎপাদনের খবরে শেয়ারটির দর বাড়ার পরিবর্তে কমার পেছনের কারণ খুঁজতে অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, বড় বিনিয়োগকারীদের একটি পক্ষ শেয়ার কেনার মেজাজে থাকলেও অপর একটি পক্ষ শেয়ার সেল মুডে রয়েছে। ফলে শেয়ারটির দর বাড়তে পারছে না।কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ২০১৮ সালে কোম্পানি ৫ শতাংশ ক্যাশ এবং ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড প্রদান করেছে। এর পরের বছর ২০১৯ সালে ১০ শতাংশ স্টক, ২০২০ সালে কোম্পানি ৫ শতাংশ ক্যাশ এবং ৫ শতাংশ স্টক, ২০২১ সালে কোম্পানি ২ শতাংশ ক্যাশ এবং ৮ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড এবং সর্বশেষ ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদান করেছে। যার রেকর্ড ডেট ছিল ১১ নভেম্বর ২০২২।ডিভিডেন্ড ঘোষণার পর কোম্পানিটি ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে। প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারটির ইপিএস হয়েছে ৫১ পয়সা যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩৩ পয়সা। এই হিসাবে শেয়ারটির ইপিএস বেড়েছে ১৮ পয়সা বা ৫৪.৫৪ শতাংশ।সর্বশেষ দর অনুযায়ী কোম্পানিটির পিই রেশিও রয়েছে ১৯.৭৫ পয়েন্টে।