উর্ধ্বমূখী লেনদেনে সুদিন ফিরবে শেয়ারবাজারে
টানা পতনে যেখানে কোন পথই খুঁজে পাচ্ছে না সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। সেখানে লেনদেনের উধ্বমূখী প্রবণতা শেয়ারবাজারের জন্য একটি ভালো সংকেত বলে মনে করছে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা। লেনদেনের গতি ফিরে আসলেই বর্তমান অবস্থান থেকে শেয়ারবাজার আবারও ইউটার্ণ নিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।তারা বলছেন, শেয়ারবাজারে তারল্যের সংকট রয়েছে। এই সংকট থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় এখন বাজারে তারল্য বাড়ানো। তারল্য বাড়লেই শেয়ারবাজারে কোম্পানিগুলোর শেয়ার রেণদেন শূরু হবে। তারল্যের সংকট থাকায় অনেক দিন ধরেই বন্ধ রয়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন। এতে করে লেনদেন কমে নেমেছে ২৫০ কোটি টাকার ঘরে।কিন্তু বর্তমানে বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারে ক্রেতা ফিরে এসেছে। এতে করে ফ্লোরে আটকে থাকা বিনিয়োগকারীরা নিজেদের শেয়ার বিক্রি করতে পারছে। শেয়ার বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে অন্য কোন শেয়ার কিনতে পারছে। এতে করে শেয়ারবাজারে লেনদেন বাড়তে শুরু করেছে। তাই বিশ্লেষকরা মনে করছেন লেনদেন বাড়লে শেয়ারবাজার এখান থেকেই আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৪.৩৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ১৯৭.৯৩ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৯.৩৯ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১০.৮০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৫৪.৫৯ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ১৯১.৫৯ পয়েন্টে।ডিএসইতে আজ ৪১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৭৭ কোটি ০২ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৩৩৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকার।ডিএসইতে আজ ২৮৯ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১০টির, শেয়ার দর কমেছে ৭৩টির এবং ২০৬টির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭২.৭৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩২৯.৪৪ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ১১৪টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২টির দর বেড়েছে, কমেছে ৪৬টির আর ৫৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।আজ সিএসইতে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।