ট্রেজারি বন্ড লেনদেন শুরু হলে জিডিপিতে অবদান বাড়বে: বিএসইসি চেয়ারম্যান

Date: 2022-09-17 00:29:48
ট্রেজারি বন্ড লেনদেন শুরু হলে জিডিপিতে অবদান বাড়বে: বিএসইসি চেয়ারম্যান
চলতি বছরেই ট্রেজারি বন্ড লেনদেন শুরু হলে পুঁজিবাজারের গ্রোথ বাড়ার পাশাপাশি জিডিপিতে অবদান বাড়বে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তিনি বলেন, কিছুদিন পর যদি আমরা সব ধরণের বন্ড ট্রেড শুরু করবো তখন তো মার্কেট ৫০ শতাংশ বেড়ে যাবে। আর সেটা চলতি বছরেই দেখতে পাবেন।শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) হোটেল ওয়েস্টিনে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) যৌথ আয়োজনে ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজার: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের ১৮টি বন্ধ কোম্পানি ইতোমধ্যে পুনরায় চালু হয়েছে। এই কোম্পানিগুলোর ব্যাংকের যে ঋণ ছিলো সেগুলো পরিশোধের একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এতে করে ব্যাংকগুলো লাভবান হয়েছে। এছাড়াও এনবিআরও লাভবান হবে কারণ এখান থেকে বড় একটা টেক্স পাওয়া যাবে। তাই এনবিআরের সহযোগিতাও আমাদের প্রয়োজন।LankaBangla securites single pageশিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা যদি অন্য কোন দেশের সঙ্গে তুলনা করি, তখন অবশ্যই সেই দেশের সার্বিক অবস্থার দিকে তাকাতে হবে প্রথমেই। আমরা যদি ডেরিভেটিভ মার্কেটের কথা বলি, তাহলের লোকের বিষয়টা তো দেখতে হবে, কিন্তু আমাদের দেশে তো ডেরিভেটিভ মার্কেট সম্পর্কে কারো ভালো ধারণা নেই।তিনি বলেন, আমাদের মিউচুয়াল ফান্ড রিসেন্ট সিসিউশন খুবই ভালো, তারা ডিভিডেন্ডও দিতে শুরু করছে। না দিলে তাদের ডেকে কারণ দর্শন করা হচ্ছে। কমোডিটি এক্সচেঞ্জে কেবল বাংলাদেশি পণ্য না, বিদেশি পণ্য কেনাবেচা হবে। কৃষকের ধান উত্তোলনের আগেই এখানে কেনা বেচা হবে। এর সফটওয়ার যদি কিনতে যাই, তাহলে প্রায় ১০০ থেকে দেড়শ কোটি টাকা লাগবে, আর একটু ভালো সফটওয়্যার যদি কিনতে চাই তাহলে লাগবে সোয়া ৪০০ কোটি টাকা। আমরা এত বড় প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি, শিগগিরই এগুলো শুরু হলে মার্কেটের সাইজ অনেক বাড়বে।তিনি আরও বলেন, ক্যাপিটাল মার্কেটকে যত সহায়তা দেয়া হোক না কেন, তত ট্যাক্স বাড়বে দেশের। ভালো কোম্পানি যদি এখানে আনা হয়, তাহলে তারা ট্যাক্স ফাকি দেয়ার সুযোগ পাবে না। শর্ট সেল নিয়ে আমাদের কাজ করার চিন্তা আছে। আগে সিসিবিএল চালু হওয়ার পর আমাদের শর্ট সেল চালু করার চিন্তা রয়েছে। কেননা শর্ট সেলের জন্য ট্রেডিং ক্যাপাসিটির উন্নয়ন দরকার।বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যে রোড শো গুলো করেছি, এটা মূলত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই যাচ্ছি। এটার সুফলও আমরা পেতে শুরু করছি। সামনেও কয়েকটি দেশে আমরা রোড শো করবো। মূলত রোড শোর মাধ্যমে যখন আমরা আমাদের পণ্যগুলো বিদেশে ব্রান্ডিং করি তখন তারা এখানে বিনিয়োগ করার ব্যপারে আগ্রহী হয়ে উঠে, কেননা রোড শোতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নীতি নির্ধারকরা আমাদের সঙ্গে উপস্থিত থাকে। তাদের সুন্দর উপস্থাপনের বিদেশিরা আগ্রহী হয়।ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) সভাপতি জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান।

Share this news