তদন্তের খবরে বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ পুঁজি হাওয়া!

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের শেয়ারে গত দুই দিন আগে যারা বিনিয়োগ করেছিলেন, তাদের এখন ২০ শতাংশ পুঁজি হাওয়া হয়ে গেছে। দুই দিন আগে কোম্পানিটির শেয়ারদর উঠেছিল ৫৯ টাকা ৫০ পয়সায়। গত দুই দিন যাবত কোম্পানির শেয়ার ১০ শতাংশ করে কমে আজ ৪৭ টাকা ৩০ পয়সায় ক্রেতাশুন্য থাকে। যদিও অ্যাডজাস্টমেন্টের কারণে শেয়ারটির ক্লোজিং দাম হয়েছে ৪৭ টাকা ৮০ পয়সায়।হাবিবুর রহমান নামের এক বিনিয়োগকারী শেয়ারনিউজকে বলেন, শেয়ারটির দাম খান ব্রার্দাসের মতো ১০০ টাকার ওপরে যাবে-এমন সংবাদে মুনাফার আশায় আমি সর্বোচ্চ দামে শেয়ারটি কিনেছিলাম। দুই দিন পর আজ আমার ২০ শতাংশ পুঁজি নেই।নাসির উদ্দিন নামের এক বিনিয়োগকারী বলেন, গত কয়েক মাসে শেয়ারটি ১০ টাকা থেকে ৬০ টাকার কাছাকাছি হয়েছে। বাজারের তথ্য অনুযায়ি, এর মধ্যে তিনটি গ্রুপ শেয়ারটি কারসাজিতে যুক্ত হয়েছে। কিন্তু এতোদিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ঘুমিয়ে ছিল। এখন ঘুম থেতে ওঠে বিনিয়োগকারীদের নিঃস্ব করে দিয়েছে।তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সোমবার কোম্পানিটি শেয়ার ৫৯ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠে যখন লেনদেন হচ্ছিল, তখন ডিএসইর ওয়েবসাইটে কোম্পানির কারখানা বন্ধ থাকার খবর প্রচার করা হয়। তারপর থেকে শেয়ারটির দাম কমতে থাকে।এরপর গতকাল দিনের প্রথম ভাগে শেয়ারটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন হয়। এদিন শেয়ারটি ৫৭ টাকার ওপরে উঠে। কিন্তু দিনের শেষভাগে ডিএসই-কে শেয়ারটির অস্বাভাবিক অস্বাভাবিক শেয়ারদর ও লেনদেন খতিয়ে দেখার গুঞ্জন ছড়াতে থাকে। ফলে শেষভাগে শেয়ারটির দামে টানা পতন দেখা যায় এবং শেষ পর্যায়ে ক্রেতাশুন্য হয়ে যায়।আজ বুধবার কয়েকটি নিউজ পোর্টালে শেয়ারটির অস্বাভাবিক অস্বাভাবিক শেয়ারদর ও লেনদেন খতিয়ে দেখতে ডিএসইর তদন্ত কমিটির খবর প্রচার করা হয়। তারপরও শেয়ারটির লেনদেন এক পর্যায়ে ইতিবাচক প্রবণতায় থাকে। কিন্তু দিনশেষে ক্রেতাশুন্য হয়ে যায়।বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২ জানুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ২৬ টাকা। আর ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারটির দাম ওঠেছে ৫৯ টাকা ৫০ পয়সায়। দিনশেষে ক্লোজিং হয়েছে ৫৬ টাকা ৮০ পয়সায়। এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১১৮ শতাংশ।