তারল্য বাড়াতে বিমা কোম্পানিগুলোকে এগিয়ে আসার আহবান বিএসইসির

Date: 2022-12-07 00:00:11
তারল্য বাড়াতে বিমা কোম্পানিগুলোকে এগিয়ে আসার আহবান বিএসইসির
শেয়ারবাজার বর্তমানে তারল্য সংকটে রয়েছে। এই তারল্য সংকট কাটানোর লক্ষ্যে বিমা কোম্পানিগুলোর সহায়তা চেয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। যে সকল বিমা কোম্পানি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হিসেবে পোর্টফলিও ম্যানেজ করে তাদেরকে বাজারে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য বিএসইসির পক্ষ থেকে আহবান জানানো হয়েছে।বুধবার (০৭ ডিসেম্বর) শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের তথ্য জানতে দেশের ২৬টি বিমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বৈঠকে ডেকেছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ।বিএসইসির বৈঠকে ২৬টি বিমা কোম্পানির মধ্যে যে সকল কোম্পানি এখনও তালিকাভুক্ত হয়নি তাদেরকে আইপিও আবেদনের জন্য বলা হয়েছে। কোম্পানিগুলো মূলধনের ২০ শতাংশ বিনিয়োগ করলে আইপিও’র মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর শেয়ারবাজারে আসতে সহায়তা করা হবে বলে বিএসইসি থেকে আসস্থ করেছে। আর যাদের বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে, তাদেরকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য আহবান করা হয়েছে।বৈঠকে বিএসইসি কমিশনার সামসুদ্দীন আহমেদ বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানকে এখানে ডাকা হয়েছে তাদেরকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করতে বেশ কিছু সুযোগ, সুবিধা ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু বিষয়ে তাদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।বিএসইসির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার কম থাকা এমন ২৬টি বিমা কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে তাদের ইকুইটির ২০ শতাংশ অর্থ বিনিয়োগ করার শর্তে ছাড় প্রদান করে বিএসইসি। কিন্তু কোম্পানিগুলো ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তি ও ইকুইটির ২০ শতাংশ অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ- এ দু’টির কোনোটিই এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন করেনি। এ অবস্থায় এসব বিমা কোম্পানিকে তালিকাভুক্তি ও ইকুইটির ২০ শতাংশ অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য উৎসাহিত করতে বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি।এর আগে ২৬টি বিমা কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য ছাড় দিয়ে ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল বিএসইসি। প্রজ্ঞাপনে, বিমা কোম্পানিগুলো ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির আইপিওর মাধ্যমে ন্যূনতম ১৫ কোটি টাকার তহবিল উত্তোলন করতে পারবে। এক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোকে তাদের ইকুইটির ন্যূনতম ২০ শতাংশ অর্থ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করতে হবে।শেয়ারবাজারে চলমান মন্দা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে বিনিয়োগ বাড়াতে বিমা কোম্পানিগুলোকে নিয়ে একই ছাদের নিচে বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ বৈঠকে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যানকে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। তবে আইডিআর এর পক্ষ থেকে একজন নির্বাহী পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।সম্প্রতি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৭টি এবং তালিকাভুক্ত নয় ১৯টি বিমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে বৈঠকের বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।বৈঠকে বিএসইসির ক্যাপিটাল ইস্যু ডিপার্টম্যান্টের সকল কর্মকর্তাসহ যেসব বিমা কোম্পানির প্রধান বা প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন সেগুলো হলো- হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বায়রা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এনআরবি গ্লোবাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, আলফা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স, যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, স্বদেশ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এলআইসি (বাংলাদেশ), মেঘনা ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স ও সিকদার ইন্স্যুরেন্স।

Share this news