টানা উত্থানের পর সংশোধনের পথে হাইডেলবার্গ সিমেন্ট!

গত ১৮ এপ্রিল শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি হাইডেলবার্গ সিমেন্টের শেয়ারদর ছিল ১৭৯ টাকা ১০ পয়সা। এরপর ডিভিডেন্ড ও বড় মুনাফার খবরে শেয়ারটি ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকে। ৯ কর্মদিবসে শেয়ারটির দর বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩৭ টাকা ৬০ পয়সায়। এ সময়ে শেয়ারটির দর বাড়ে ১৫৮ টাকা ৫০ পয়সা বা ৮৮.৫০ শতাংশ।টানা ৯ কার্যদিবস উত্থানের পর আজ সোমবার (০৮ মে) শেয়ারটি সংশোধনের ধারায় ধাবিত হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, শেয়ারটির পেছনের বড় একটি গ্রুপ রয়েছে। যারা কোম্পাটির মুনাফার খবর প্রকাশের আগে থেকেই শেয়ারটি সংগ্রহ করতে থাকে। এরপর মুনাফার খবর আসার পর শেয়ারটি দরে উল্লম্ফন দেখা যায়। এখন শেয়ারটি থেকে তারা মুনাফা তুলছে। যে কারণে শেয়ারটির দরে নেতিবাচক প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ অর্থবছরের জন্য হাইডেলবার্গ ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ২৬ শতাংশ ক্যাশ। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ১৩ পয়সা। যা আগের বছর শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ৮ টাকা ৪১ পয়সা।তবে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি লোকসানে থাকলেও চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৩) কোম্পানিটি বড় মুনাফা দেখিয়েছে। প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৬ টাকা ৮৫ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ২ টাকা ৯৭ পয়সা। বছরের ব্যবধানে বহুজাতিক কোম্পানির মুনাফায়ও এতো বড় ব্যবধান-এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, কোম্পানিটির দেশীয় কয়েকজন প্রভাবশালী পরিচালকের স্বার্থেই মুনাফায় এতো ব্যবধান।