টানা পতনেও দর বেড়েছে শুধু ভ্রমণ খাতে
![টানা পতনেও দর বেড়েছে শুধু ভ্রমণ খাতে](https://stocknewsbd.s3.ap-southeast-1.amazonaws.com/3854/sharebiz_bazar.jpg)
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস গতকাল বুধবার পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। এদিন পুঁজিবাজারের সব সূচক কমেছে। তবে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। এছাড়া গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। এদিন সূচকের টানা পতনেও বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে শুধু ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ার। ফলে আলোচিত খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এছাড়া গতকাল দুই খাত ছাড়া বাকি সব খাতের শেয়ারদর কমেছে। এর মধ্যে গতকাল বড় পতন হয়েছে পাট খাতের শেয়ারে। এতে খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে আগের কার্যদিবসেও শেয়ারদরে বড় পতন হয়।বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল আগ্রহ বেশি থাকা ভ্রমণ খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ২ দশমিক ১০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট চারটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে একটির দাম বেড়েছে এবং একটি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। সিমেন্ট, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধি বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় পাট খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। খাতটিতে গতকাল মোট তিনটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গতকাল এ খাতের সব শেয়ারদর কমেছে। ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ারদর কমে এরপরে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাত। শেয়ারদর কমায় তৃতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতের দর কমেছে তিন শতাংশ। গতকাল সেবা ও আবাসন খাতের শেয়ারদর ২ দশমিক ৮০ শতাংশ কমে চতুর্থ স্থানে ছিল।অপরদিকে গতকাল সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২১ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিরামিক খাতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ১০ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হওয়া প্রকৌশল খাত রয়েছে তৃতীয় স্থানে। চতুর্থ স্থানে থাকা আইটি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৭ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ১৯৮ দশমিক ৮২ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ্ সূচক ৮ দশমিক ৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বা দশমিক ২৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৫৫ দশমিক ২৫ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ১৯৩ দশমিক ০৩ পয়েন্টে।ডিএসইতে গতকাল ৩৩৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবস থেকে ১১ কোটি ১৭ লাখ টাকা কম। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৩২২ কোটি ৪১ লাখ টাকার। গতকাল ডিএসইতে ২৮৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ৯টির বা ৩ দশমিক ১৬ শতাংশের, শেয়ারদর কমেছে ৭৩টির বা ২৫ দশমিক ৬১ শতাংশের এবং ২০৩টির বা ৭১ দশমিক ২৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত রয়েছে।অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৬ পয়েন্ট বা দশমিক ১৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩০৭ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ১৪১টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছয়টির দর বেড়েছে, কমেছে ৫২টির ও ৮৩টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। গতকাল সিএসইতে ছয় কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।