স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কোম্পানির শেয়ার বিক্রির ঘোষণা

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও তার পরিবারের সদস্যরা সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সব শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।রোববার (২৬ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে কোম্পানিটি জানিয়েছে, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স তাদের সব শেয়ার কিনে সানলাইফের মালিকানায় আসবে।তথ্যমতে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সব শেয়ার বিক্রি করে দেবেন। তাদের এসব শেয়ার কিনবে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স।কোম্পানিটি জানিয়েছে, জাহিদ মালেকের কাছে সানলাইফের ২৯ লাখ ৫৮ হাজার শেয়ার রয়েছে। রোববার তিনি তার সব শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তার স্ত্রী শাবানা মালেকও ৭ লাখ ১৫ হাজার ২১৩টি শেয়ার বিক্রি করবেন। ছেলে রাহাত মালেক বিক্রি করবেন ৩০ লাখ ৪৯ হাজার ৮০০ শেয়ার।স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বোন রুবিনা হামিদ ১৭ লাখ ৫৬ হাজার ৭৬০টি ও তার স্বামী কাজী আক্তার হামিদ সানলাইফের ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৩৮টি শেয়ার বিক্রি করবেন।এছাড়াও সানলাইফের উদ্যোক্তা মুস্তাক আহমেদ ৭ লাখ ৯৪ হাজার ৬৭২টি, সাইদুর রহমান ২ লাখ ৫০ হাজার ২৯টি এবং পরিচালক ৭ লাখ ১৭ হাজার ৪২৯টি শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন।ডিএসই জানিয়েছে, তাদের থেকে ৩৫ লাখ ৭৬ হাজার ৬৯টি শেয়ার কিনবে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। এতে বিএসইসির বিধিমালা অনুযায়ী সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সকে অধিগ্রহণ এবং এর কর্তৃত্ব গ্রহণের ক্ষমতা অর্জর করবে গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স।ব্লক মার্কেটের মাধ্যমে আগামী ৩০ কর্মদিবসের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা এসব শেয়ার বিক্রি করবেন।বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) অনাপত্তি পেয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সানলাফ ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ৫৪ লাখ ১৯ হাজার ৩০৯টি শেয়ার বিক্রির অনুমোদন দেয়। এসব শেয়ার ক্রয় করবে গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স ও তার সহযোগী কোম্পানি।উল্লেখ্য, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পিতা ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র কর্নেল আব্দুল মালেক।স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও তার স্ত্রী শাবানা মালেক বিমা কোম্পানিটির উদ্যোক্তা। মন্ত্রীর ছেলে রাহাত মালেক প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক। এছাড়াও সানলাইফের উদ্যোক্তা পরিচালক হচ্ছেন মন্ত্রীর বোন রুবিনা হামিদ ও তার স্বামী কাজী আক্তার আহমেদ।