সুকুকের দুই প্রকল্প উৎপাদনে, তৃতীয়টি নির্মাণাধীন

সুকুক তথা শরীয়াহসম্মত বন্ড ছেড়ে উত্তোলন করা অর্থে স্থাপিত বেক্সিমকোর দুই প্রকল্প বাণিজ্যক উৎপাদন শুরু করেছে। এ দুই প্রকল্পে সুকুকের আড়াই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল। তৃতীয় প্রকল্পটি নির্মাণাধীন আছে।বেক্সিমকোর প্রকাশিত এক মূল্য সংবেদনশীল বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্য জানা গেছে।পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো লিমিটেড ২০২১ সালে সুকুক ইস্যু করে ৩ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করে। ওই টাকা কোম্পানির দুটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগ করার কথা। কোম্পানি দুটি হচ্ছে-তিস্তা সোলার লিমিটেড ও করতোয়া সোলার লিমিটেড। এছাড়াও সংগৃহীত অর্থের একাংশ বস্ত্র খাতের বিভিন্ন ইউনিটের উৎপাদনক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিনিয়োগ করার কথা জানিয়েছিল কোম্পানিটি।LankaBangla securites single pageরোববার (১৩ আগস্ট) প্রকাশিত বেক্সিমকোর বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৮ জানুয়ারি থেকে তিস্তা সোলার থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। গত ২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্প আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন। প্রকল্পটিতে ১ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এর উৎপাদনক্ষমতা ২০০ মেগাওয়াট।অন্যদিকে বেক্সিমকোর টেক্সটাইল ডিভিশনে ব্যয় করা হয়েছে ৮০৫ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে এই ডিভিশনের বিভিন্ন ইউনিটে নতুন মেশিনারিজ স্থাপন করা হয়েছে। তাতে কোম্পানির স্পিনিং, ডেনিম, ইয়ার্ন ডাইয়িং, নিটিং, প্রিন্টিং ও ওয়াশিং ইউনিটের উৎপাদনসক্ষমতা বেড়েছে।আলোচিত দুই প্রকল্পে সুকুকের তহবিল থেকে মোট ২ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। প্রকল্প দুটি থেকে রাজস্ব পেতে শুরু করেছে কোম্পানিটি।সুকুকের তহবিল বিনিয়োগে করতোয়া সোলার লিমিটেডের নির্মাণ কাজ চলছে। এর উৎপাদনক্ষমতা ৩০ মেগাওয়াট। আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে এটি উৎপাদনে আসবে বলে আশা করছে বেক্সিমকো।