স্থায়ীভাবে বন্ধের দ্বারপ্রান্তে দুলামিয়া কটন মিলস

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কারণ কোম্পানিটি পুরানো যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন করে উৎপাদন ইউনিট পুনর্গঠন করতে ব্যর্থ হয়েছে। কোম্পানিটির নিরীক্ষক এমন মতামতই প্রদান করেছেন।নিরীক্ষক বলেছেন, গত তিন বছর ধরে কোম্পানিটি উৎপাদন প্রক্রিয়ার বাইরে রয়েছে। কোম্পানিটি কখনই উৎপাদন পুনরায় শুরু করতে সক্ষম হবে না। কারণ কোম্পানিটির বর্তমান দায় বর্তমান সম্পদের ১৬ গুণ।নিরীক্ষক জানিয়েছেন, স্পিনিং মিলটির প্রতি ১ টাকা দায়ের বিপরীতে মাত্র ২২ পয়সার সম্পদ রয়েছে। এর অর্থ হল যদি কোম্পানিটি তার সম্পূর্ণ সম্পদ বিক্রি করে, তবে এটি তার দায়ের মাত্র ২- শতাংশ শোধ করতে সক্ষম হবে।কোম্পানিটিতে আনুমানিক ২৭ হাজার স্পিন্ডেল রয়েছে, যা প্রতি বছর প্রায় ৭৫ হাজার পাউন্ড (পাউন্ড) তুলা সুতা উৎপাদন করতে সক্ষম। তবে পুরনো হওয়ার কারণে বর্তমানে মেশিনগুলো যা উৎপাদন করতে সক্ষম, তা কোম্পানিটি ব্যবস্থাপনার জন্য যথেষ্ট নয় এবং মানের দিক থেকেও উন্নত মানের নয়।দুলামিয়া কটনের আর্থিক বিবরণী অনুসারে, এটি ইউরোপীয় দেশ রোমানিয়া থেকে মেশিনগুলো আমদানি করেছিল। সেই মেশিনগুলো এখন মেয়াদোত্তীর্ণ। পুরানো মেশিন দিয়ে তৈরি সুতা বাজারে পাওয়া সুতার সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবে না।১৯৮৭ সালে নিবন্ধিত হওয়ার পর দুলামিয়া কটন মিল এক দশকেরও বেশি সময় ধরে লোকসানে চলছে। ২০২৩ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, এর পুঞ্জীভূত লোকসান ৩৭ কোটি ২০ লাখ টাকায় পৌঁছেছে।এর স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী দায় রয়েছে ৩৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। যেখানে বর্তমান এবং স্থায়ী সম্পদের মূল্য ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা।১৯৮৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দুলামিয়া কটন গত এক দশকের বেশি সময় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো ডিভিডেন্ড দিতে পারছে না।