সোয়া ৭ কোটি টাকার শাস্তির কবলে এবি ব্যাংক

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি খাতের এবি ব্যাংক ২০২২ অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের কেবল বোনাস ডিভিডেন্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া, কোম্পানিটি মুনাফার ৩০ শতাংশের কম ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। যার কারণে ব্যাংকটিকে ৭ কোটি ১৪ লাখ টাকার অতিরিক্ত করের শাস্তির কবলে পড়তে হবে।জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি কোনো অর্থবছরে ক্যাশ ডিভিডেন্ডের বেশি বোনাস ডিভিডেন্ড দিতে পারবে না। অর্থাৎ বোনাস ডিভিডেন্ড ক্যাশ ডিভিডেন্ডের সমান হতে হবে। যদি কোনো কোম্পানি বোনাস ডিভিডেন্ড বেশি দেয়, তাহলে ওই বোনাস ডিভিডেন্ডের উপর ১০ শতাংশ হারে কর প্রদান করতে হবে।এছাড়া কোম্পানিগুলোকে মুনাফার কমপক্ষে ৩০ শতাংশ ডিভিডেন্ড আকারে শেয়ারহোল্ডারদের দিতে হবে। যদি ৩০ শতাংশের কম ডিভিডেন্ড দেওয়া হয়, তাহলে রিটেইন আর্নিংসে স্থানান্তর করা পুরো অংশ বা কোম্পানিতে রেখে দেওয়া পুরোটার উপরে ১০ শতাংশ হারে কর প্রদান করতে হবে।দেখা গেছে, এবি ব্যাংকের ২০২২ সালের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি ৮৩ পয়সা হিসেবে ৭১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। এরমধ্যে থেকে ২ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড বাবদ ১৭ কোটি ২২ লাখ টাকা দিয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো হবে। মুনাফার বাকি ৫৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা বা ৭৬ শতাংশ রিটেইন আর্নিংসে যোগ হবে।কোম্পানিটিকে শুধুমাত্র ওই বোনাস ডিভিডেন্ড ঘোষণার কারণে ১৭ কোটি ২২ লাখ টাকার বোনাস শেয়ারের উপর ১০ শতাংশ হারে ১ কোটি ৭২ লাখ টাকার অতিরিক্ত কর দিতে হবে।এছাড়া মুনাফার ৩০ শতাংশের কম ডিভিডেন্ড ঘোষণা করায় ৫৪ কোটি ২৪ লাখ টাকার উপর ১০ শতাংশ হারে আরও ৫ কোটি ৪২ লাখ টাকার অতিরিক্ত কর দিতে হবে।এর আগে ২০২১ সালে ক্যাশ ডিভিডেন্ডের বেশি বোনাস ও ২০২০ সালে শুধুমাত্র বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়ে অতিরিক্ত আয়করের শাস্তির কবলে পড়েছিল ব্যাংকটি।