সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করবে ডরিনের মূল কোম্পানি

দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ খাতের ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমস লিমিটেডের মূল কোম্পানি এশিয়ান এনটেক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এইপিসিএল) জাপানের মারুবেনি করপোরেশনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্দেশ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের সময় তার উপস্থিতিতে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।তথ্যানুসারে, ৬০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার এ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে যৌথভাবে বিনিয়োগ করবে এইপিসিএল ও মারুবেনি করপোরেশন। ভোগ্যপণ্য, লাইফস্টাইল, তথ্যপ্রযুক্তি, খাদ্য, কৃষি, খনিজ, বনজ সম্পদ, জ্বালানি, বিদ্যুৎ, অবকাঠামো, পরিবহন, অ্যারোস্পেস, শিল্পের যন্ত্রপাতি, আর্থিক খাত, আবাসন, ব্যবসার উন্নয়নসহ বহুমুখী খাতে বিনিয়োগ রয়েছে মারুবেনি করপোরেশনের। ইন্দোনেশিয়া, ওমান, ফিলিপাইন, তাইওয়ান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড ও কেনিয়ায় বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। বাংলাদেশে ঢাকা ও চট্টগ্রামে মারুবেনির কার্যালয় রয়েছে। বাংলাদেশে ১ হাজার ৩০০ মেগাওয়াটের গ্যাস ও জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিল মারুবেনি। এছাড়া বাংলাদেশে মেট্রোরেলের পুরো সিস্টেমই তারা সরবরাহ করেছে। দেশের একটি সার উৎপাদন কারখানায় তাদের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ রয়েছে।চুক্তির বিষয়ে মারুবেনির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খুলনা বিভাগ ও অন্যান্য অঞ্চলে সৌরবিদ্যুৎসহ বিভিন্ন প্রকল্প উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মারুবেনি ও এইপিসিএল নিজেদের মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ও পরিবেশগতভাবে টেকসই বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করতে চায়।ডরিন পাওয়ারের মূল প্রতিষ্ঠান এশিয়ান এনটেক পাওয়ারের কাছে কোম্পানিটির ৬৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানি ডরিন পাওয়ারের অধীনে বর্তমানে ২৯১ মেগাওয়াট সক্ষমতার ছয়টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে।চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) ডরিন পাওয়ারের সমন্বিত কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৩২ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ মুনাফা ছিল ১৩৪ কোটি ৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির সমন্বিত নিট মুনাফা কমেছে ১০১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বা ৭৫ দশমিক ৮২ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১ টাকা ৭৯ পয়সা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭ টাকা ৩৬ পয়সা। এ বছরের ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা ৭১ পয়সায়।