সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাচ্ছে খুলনা পাওয়ার

Date: 2024-01-05 20:00:10
সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাচ্ছে খুলনা পাওয়ার
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড-কেপিসিএল ৩০ মেঘাওয়াটের একটি সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে।সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপন করতে কেপিসিএল ইতোমধ্যে গাজীপুরের পাকুন্দিয়ায় ১০০ একর জমিও কিনেছে। মুনাফায় ফিরতে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে মনোযোগি হচ্ছে বলে কোম্পানিটি জানিয়েছে।কোম্পানিটি জানিয়েছে, ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। কোম্পানিটি ২০২২-২৩ অর্থবছরে লোকসান করেছে ৬৬ কোটি টাকা। যেখানে আগের বছর ২০২১-২২ অর্থবছরে মুনাফা করেছিল ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা৷কেপিসিএল-এর বর্তমানে দুটি বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। যেগুলো হলো - কেপিসিএল ইউনিট-২ এবং কেপিসিএল ইউনিট-। যেগুলি ২০২১ সালের মে মাসে সরকারের সাথে তাদের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দশ মাস ধরে নিষ্ক্রিয় রয়েছে।কোম্পানির আর্থিক বিবরণে বলা হয়, সরকারের সঙ্গে চুক্তির পুনর্নবীকরণের দুই বছর পর ২০২২ সালের মার্চ মাসে দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ফের উৎপাদনে ফেরে।“বিদ্যুত নেই, অর্থ নেই”-এই নীতির অধীনে কোম্পানিটির বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি সরকার আরও দুই বছরের জন্য বাড়িয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুটির ক্রয় চুক্তির মেয়াদ ২০২৪ সালের মার্চ মাসে শেষ হয়ে যাবে। তারপর চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আবারও দেন-দরবার করতে হবে।এদিকে, আয়ের জন্য কোম্পানিটিকে তার সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পায়রা পাওয়ারের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। যা থেকে কোম্পানিটির বার্ষিক আয় প্রায় ২৫ কোটি টাকা থেকে ৩৫ কোটি টাকা।কেপিসিএলের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা এইচ এম নুরুজ্জামান মিয়া সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মুনাফা বাড়াতে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে দিকে এগুচ্ছে কোম্পানিটি। যাতে আয়ের জন্য কোম্পানিটিকে সহায়ক সংস্থার ওপর নির্ভর করতে না হয়।উল্লেখ্য, সরকারের সঙ্গে পায়রা পাওয়ার প্ল্যান্টের এই প্ল্যান্টের মেয়াদ রয়েছে ১৫ বছরের। এর মধ্যে মাত্র 2 বছর পার হয়েছে। ১৫০ মেঘাওয়াট সম্পন্ন পায়রা প্ল্যান্টের ৩৫ শতাংশের মালিক কেপিসিএল।কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

Share this news