সংকটে থাকা জিকিউ বলপেনে অর্থের অপব্যবহার
![সংকটে থাকা জিকিউ বলপেনে অর্থের অপব্যবহার](https://stocknewsbd.s3.ap-southeast-1.amazonaws.com/5823/GQpallpen.jpg)
একসময় দাপটের সঙ্গে ব্যবসা করা জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ এখন জীবনচক্রের শেষ ধাপে। নিয়মিত ব্যবসায় এখন মন্দা। যা কোম্পানিটির ঋণ পরিশোধের মতো অক্ষমতার জায়গায় নিয়ে গেছে। সেই কোম্পানির অর্থ পড়ে আছে অন্য জায়গায়।নিরীক্ষক জানিয়েছেন, জিকিউ বলপেন কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে ‘সিকিউরিটি ডিপোজিট’ হিসেবে ১৯ লাখ ১৩ হাজার ৭২৬ টাকার সম্পদ দেখিয়ে আসছে। কিন্তু এর কোন সমন্বয় হচ্ছে না। যে অর্থ ঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে।অথচ কোম্পানিটি নিজেই অর্থের অভাবে ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না। এজন্য এখন জমি বিক্রি করবে। যেখান থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা হবে।জানা গেছে, কোম্পানিটির চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের ৭.৬৭ কাঠা জমি বিক্রি করা হবে। এখান থেকে পাপ্য ৩ কোটি ৪৫ লাখ ১৫ হাজার টাকার মধ্য থেকে সাউথইস্ট ব্যাংকের ১ কোটি ১৬ লাখ টাকার ঋণ পরিশোধ করা হবে। বাকি অর্থ কোম্পানির অন্যান্য কাজে লাগানো হবে।নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কোম্পানিটির গ্র্যাচ্যুইটি ফান্ড জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ১৯৯৯ সালে অনুমোদন দিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে প্রতি বছর ওই ফান্ড নিরীক্ষা করার শর্ত দিয়েছিল। কিন্তু কোম্পানি কর্তৃপক্ষ তা পরিপালন করে না।এই কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা ১০৮ পরিপালন করেনি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া জিকিউ বলপেনের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৫৮.১২ শতাংশ। কোম্পানিটির বুধবার (০৮ মার্চ) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৮২.৫০ টাকায়।