সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে শেয়ারবাজার

Date: 2023-05-27 21:00:35
সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে শেয়ারবাজার
করোনা মহামারির পরে ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধসহ নানা ধরনের বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে শেয়ারবাজার। বৈশ্বিক এমন টালমাটাল পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে নানামুখী চাপ ও সমালোচনায় পড়তে হয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি)। কিন্তু বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃতত্বাধীন কমিশনের দূরদর্শী ও কার্যকরী পদক্ষেপে সেই সংকটকে পেছনে ফেলে আবারও শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।দীর্ঘদিন ফ্লোর প্রাইস নিয়ে যেখানে ছিলো অনেক সমালোচনা। কিন্তু সেই ফ্লোর প্রাইস নিয়ে এখন আর নেই কোন সমালোচনা। ক্রমাগত কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইস ভেঙ্গে লেনদেন করতে দেখা গেছে। যার ফলে এখন আর ফ্লোর প্রাইস নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মাঝে তেমন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়না। শেয়ারবাজার অস্থির পরিস্থিতি থেকে আবারও ঘুড়ে দাাঁড়ানোর ফলে কমিশন ও বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও বেড়ে গেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।তবে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সর্বাত্মক পারস্পরিক সহযোগিতায় সংকটময় পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারকে বড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করের কমিশন।বৈশ্বিক সংকটের কারণে দেশের শেয়ারবাজারে অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে গেছে। তবে সূচক বিবেচনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলনায় বৈশ্বিক সংকটে দেশের শেয়ারবাজার অনেক ভালো আছে। এসএমই প্ল্যাটফর্ম, অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি), এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ), ট্রেজারি বন্ড, কমোডিটি এক্সচেঞ্জসহ নতুন নতুন প্রোডাক্ট শেয়ারবাজারে সংযুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণের ফলে কমিশনকে অনেক সমালোচিত হতে হয়েছে। তবে এর সুফল বিনিয়োগকারীরা ভবিষ্যতে পাবেন। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা ও শেয়ারবাজারের উন্নয়নে কমিশনের প্রচেষ্টা বিগত তিন বছর ধরে অব্যাহত রয়েছে।ইতোমধ্যে শেয়ারবাজার সংকট কাটিয়ে লেনদেনে ৩০০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৭০০ থেকে হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত হচ্ছে। শেয়ারবাজারের লেনদেনের গতির সাথে সাথে প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন কোম্পানি ফ্লোর প্রাইস অতিক্রম করছে। লেনদেনের গতি এমন থাকলে বা বৃদ্ধি ফেলে ফ্লোর প্রাইসেই আর কোন কোম্পানির শেয়ার থাকবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।ইতোমধ্যে শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলো ভালো বিনিয়োগ করার আশ্বাস দিয়েছে কমিশনকে। ব্যাংকগুলো বাজারে সক্রিয়ভাবে বিনিয়োগ করলে লেনদেন বেড়ে যাবে। এতে করে শেয়ারবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়ে যাবে। আর এরই ফলে বিনিয়োগকারীরা সক্রিয়ভাবে বাজারে বিনিয়োগ করতে শুরু করবে। যার ফলে বাজার থেকে সাইড লাইনে থাকা বিনিয়োগকারীরা বাজারে সক্রিয় হবে। ফলে বাজার আগের মতো আবারও গতি ফিরে পাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Share this news