শেয়ারবাজারের উন্নয়নে আইপিডিসি শেয়ার নিয়ে যেভাবে কারসাজি
শেয়ারবাজারে কারসাজিকর হিসেবে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আবুল খায়ের হিরু। যার সহযোগি হিসেবে তার পরিবারের সদস্যসহ অনেকে রয়েছেন। যারা শেয়ারবাজারের উন্নতি করতে ও লেনদেন বাড়াতে সিরিজ ট্রেডিং করেছেন বলে শুনানিতে দাবি করেছেন। যার পেছনে অন্যকোন উদ্দেশ্য ছিল না। তবে তাদের এই দাবি অন্যসব কোম্পানির ন্যায় আইপিডিসির শেয়ারের ক্ষেত্রেও কমিশনের কাছে বিবেচনাযোগ্য হয়নি। যে কারনে কোম্পানিটির শেয়ার কারসাজির দায়ে আবুল খায়ের হিরু সংঘবদ্ধ চক্রকে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে কমিশন। তবে এটা কারসাজিতে আয়ের চেয়ে অনেক কম।বিভিন্ন কোম্পানির ন্যায় আবুল খায়ের চক্রটি আইপিডিসি শেয়ার নিয়ে কারসাজি করে। এই কারসাজিতে তারা ১ মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে (২৯ মার্চ – ২৪ এপ্রিল ২০২২) আইপিডিসির ৩৪ টাকার শেয়ার ৫৪.৭০ টাকায় উঠায়। এক্ষেত্রে দর বাড়ানো হয় ৬০.৮৮%। এই দর বৃদ্ধিতে মোহাম্মদ ইউনুসের সোনালি পেপারসহ আবুল খায়ের হিরুর সংঘবদ্ধ চক্র জড়িত বলে ডিএসইর তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। এই চক্রের মধ্যে আবুল খায়ের অগ্রনি ইক্যুইটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট এর এবিএম৬৪৫ কোড থেকে সবচেয়ে বেশি কেনা-বেচা হয়েছে। সে ওইসময় ১ কোটি ৩৮ লাখ শেয়ার কেনে এবং বিক্রি করে ১ কোটি ৫ লাখ।আইপিডিসির শেয়ার কারসাজিতে আবুল খায়ের হিরু ২০টি বিও পরিচালনা করে। এতে তিনি পিতা আবুল কালাম মাতবর, মাতা আলেয়া বেগম, বোন কনিকা আফরোজ, স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান, তার নেতৃত্বাধীন ডিআইটি কো-অপারেটিভ লিমিটেড, ভাই মোহাম্মদ বাশার ও সাজেদ মাদবর, শ্যালক কাজী ফরিদ হাসান, কাজী ফুয়াদ হাসান ও তানভির নিজামের বিও হিসাব পরিচালনা করেন।তাদের ২০টি বিও হিসাব রয়েছে-অগ্রনি ইক্যুইটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ইউসিবি ব্রোকারেজ, ইবিএল সিকিউরিটিজ, ব্র্যাক ইপিএল, এসবিএল ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট, সোনালি ইনভেস্টমেন্ট ও মোনার্ক হোল্ডিংসে।