শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত চামড়া খাতের ছয় কোম্পানির হালচাল

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ছয়টি কোম্পানির মধ্যে একটি কোম্পানি বহুজাতিক। বহুজাতিক কোম্পানিটির আর্থিক অবস্থা ভালো হলেও অন্য কোম্পানিগুলোর অবস্থা টালমাটাল। চামড়া খাতের কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এমন তথ্য মিলেছে। ছয়টি কোম্পানির মধ্যে তিন টি কোম্পানি মুনাফা থাকলেও লোকসানে রয়েছে তিনটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সর্বশেষ তথ্য এমনটাই বলছে।চামড়া খাতের এই ছয়টি কোম্পানির মধ্যে যে তিন কোম্পানি মুনাফায় রয়েছে, তারমধ্যে দুইটি কোম্পানির মুনাফা কমেছে আগের বছরের তুলোনায়। কোম্পানি তিনটির মধ্যে রয়েছে বাটা সু, এপেক্স ফুটওয়্যার এবং ফরচুর সুজ।বাটা সু: প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯ টাকা ৯৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫ টাকা ০১ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৬২ টাকা ১২ পয়সা। সর্বশেষ ২০২২ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য মোট ৩৬৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।এপেক্স ফুটওয়্যার: তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির মুনাফা কমেছে আগের বছরের তুলোনায় ১ টাকা ৪৩ পয়সা বা ১৪৭ শতাংশ।এদিকে, তিন প্রান্তিকে তথা ৯ মাসে (জুলাই’২২-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬ টাকা ১৯ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৬ টাকা ০৮ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৩২ টাকা ৯৬ পয়সা।সর্বশেষ ২০২২ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য মোট ৩৫ শতাংশ ক্যাশ এবং ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে।ফুরচুন সুজ: তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫৪ পয়সা। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির মুনাফা কমেছে আগের বছরের তুলোনায় ৪৫ পয়সা বা ৫০০ শতাংশ।এদিকে, তিন প্রান্তিকে তথা ৯ মাসে (জুলাই’২২-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২৩ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ৪২ পয়সা। তিন প্রান্তিকেও কোম্পানিটির মুনাফা কমেছে আগের বছরের তুলোনায় ১ টাকা ১৯ পয়সা বা প্রায় ৯৭ শতাংশ।আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৪ টাকা ৩৪ পয়সা।সর্বশেষ ২০২২ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য মোট ১০ শতাংশ ক্যাশ এবং ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে।চামড়া খাতের বাকি তিন কোম্পানি লোকসান রয়েছে। এই তিন কোম্পানির মধ্যে রয়েছে এপেক্স টেনারী, লিগাসী ফুটওয়্যার এবং সমতা লেদার। লোকসানে থাকা এই তিন কোম্পানির মধ্যে সমতা লেদার ঠিকভাবে আর্থিক প্রতিবেদনও প্রকাশ করেনি।এপেক্স টেনারী: তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৯২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১২ পয়সা।এদিকে, তিন প্রান্তিকে তথা ৯ মাসে (জুলাই’২২-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ৫ টাকা ৪০ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ২৮ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৫৭ টাকা ৪৮ পয়সা।সর্বশেষ ২০২২ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য মোট ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।লিগাসী ফুটওয়্যার: তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ০৫ পয়সা।এদিকে, তিন প্রান্তিকে তথা ৯ মাসে (জুলাই’২২-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ৯০ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০৬ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৮ টাকা ৯৩ পয়সা।সর্বশেষ ২০২২ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য নো ডিভিডেন্ড দিয়েছে।সমতা লেদার: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ০৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ০২ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৪ টাকা ২৮ পয়সা।সর্বশেষ ২০২২ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য নো ডিভিডেন্ড দিয়েছে।