শেয়ারবাজারে লেনদেনে গতি নেই, ২১০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন

Date: 2022-12-27 16:00:10
শেয়ারবাজারে লেনদেনে গতি নেই, ২১০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন
দেশের শেয়ারবাজারের লেনদেনে গতি ফিরছে না। গত পাঁচ কার্যদিবস ধরে তিন শ কোটির আশপাশেই ঘুরপাক খাচ্ছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৭০ কোটি টাকা। এর আগে গত সোমবার চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসইর লেনদেন দুই শ’ কোটির নিচে নেমে গিয়েছিল। তাতে ওই দিন শেষে লেনদেন ফিরে যায় আড়াই বছর আগের অবস্থানে।ডিএসইতে গতকাল লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কিছুটা বাড়লেও সূচকের পতন অব্যাহত রয়েছে। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ১৮০ পয়েন্টে। ঢাকার বাজারে গতকাল লেনদেন হওয়া ৩১৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬০টি বা ৫১ শতাংশেরই দাম অপরিবর্তিত ছিল। আর দাম কমেছে ১৩৬টির বা সাড়ে ৪৩ শতাংশের। দাম বেড়েছে মাত্র ১৭টির বা সাড়ে ৫ শতাংশের।বাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বেশির ভাগ শেয়ারের দাম সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকায় লেনদেনে স্থবির হয়ে গেছে। তাই লেনদেন বাড়াতে গত বৃহস্পতিবার ১৬৯ প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হলেও তার কোনো সুফল বাজারে পড়ছে না।কারণ, যেসব প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়েছে, লেনদেন ও সূচকে সেসব প্রতিষ্ঠানের অবদান একেবারেই নগণ্য। বেশ কিছুদিন ধরে বাজারে মন্দাভাব থাকায় প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিশ্রেণির বেশির ভাগ বিনিয়োগকারীই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় করা না গেলে বাজার গতিশীল হবে না।নাম প্রকাশ না করার শর্তে শীর্ষস্থানীয় এক ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বলেন, বাজার এক ধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে। বিনিয়োগকারীদের বড় অংশই সাইড লাইনে,তথা হাত গুটিয়ে বসে আছেন। নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় করা না গেলে লেনদেন ও সূচকের উন্নতি হবে না।শেয়ারবাজারের মাধ্যমে ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা তুলবে শরিয়াভিত্তিক দুটি ও প্রচলিত ধারার একটি ব্যাংক। ব্যাংক তিনটি বন্ড ছেড়ে এ টাকা তুলবে। ব্যাংক তিনটি হচ্ছে ইসলামী ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল) এবং পূবালী ব্যাংক। এর মধ্যে ৮০০ কোটি টাকা তুলবে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, পূবালী ব্যাংক তুলবে ৭০০ কোটি টাকা এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক তুলবে ৬০০ কোটি টাকা। গতকাল মঙ্গলবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ব্যাংক তিনটির বন্ড ছাড়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।বিএসইসি জানিয়েছে, ইসলামী ব্যাংক অরূপান্তরযোগ্য ৭ বছর মেয়াদি বন্ড ছেড়ে ৮০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এ টাকা মূলধনভিত্তি শক্তিশালী করার পাশাপাশি প্রচলিত ব্যবসায়ও বিনিয়োগ করতে পারবে। ইসলামী ব্যাংকের বন্ডের প্রতিটি ইউনিটের অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালু ধরা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানি, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, করপোরেট প্রতিষ্ঠান, উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তির কাছে এ বন্ড বিক্রি করা হবে।

Share this news