শেয়ারবাজারে চলছে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি নিঃশেষের প্রতিযোগিতা

শেয়ারবাজারে চলছে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি নিঃশেষের প্রতিযোগিতা। প্রতিদিনই কমছে সূচক, কমছে পুঁজি। যার অনিবার্য পরিণতিতে নিঃশেষ হয়ে বাড়ি ফিরছেন অসহায় বিনিয়োগকারীরা।বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ০১ সেপ্টেম্বর থেকে আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) ৩১ কর্মদিবসের মধ্যে ২২ কর্মদিবসই শেয়ারবাজারে পতন হয়েছে। বিপরীতে মাত্র ৯ কর্মদিবস ইতিবাচক প্রবণতায় ছিল।গত ০১ সেপ্টেম্বর প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ছিল ৫ হাজার ৮২৯ পয়েন্ট। আজ বুধবার (১৬ অক্টোবার) ডিএসইর সূচক দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩১৬ পয়েন্টে। এই ৩১ কর্মদিবসে সূচক কমেছে ৫১৩ পয়েন্ট। এদিকে, ০১ সেপ্টেম্বর ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ১ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকায়। আজ বুধবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৯১৭ কোটি টাকায়। মূলধন কমেছে ২৮ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা।বিনিয়োগকারীরা বলছেন, শেয়ারবাজারে ইতিবাচক পরিবেশ ফেরাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে তথাকথিত মার্কেট মেকারদের লোক দেখানে অনেক মিটিং হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। হয় নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওপর মার্কেট মেকারদের আস্থা নেই, অথবা নিয়ন্ত্রক সংস্থা মার্কেট মেকারদের আস্থায় নিতে পারছে না।বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজারে এখন মূল সমস্যা তারল্য প্রবাহ। নতুন করে তারল্য প্রবাহ বাড়াতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে আরও কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় শেয়ারবাজারে সরকারি-বেসরকারি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগে পলিসিগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পাশাপাশি দেশের বড় বড় শিল্প গোষ্টির মালিকদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে উৎসাহ যোগাতে হবে। অন্যথায় শেয়ারবাজারের কাংখিত স্থিতিশীলতা অধরাই রয়ে যাবে।বুধবারের বাজার পর্যালোচনাআজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৪৯.৭৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩১৬ পয়েন্টে।অন্য দুই সূচকের মধ্যে ‘ডিএসইএস’ ১২.৪৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৮২ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ১৫.৭৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।আজ ডিএসইতে ২৯৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩১৮ কোটি ৬ লাখ টাকা।এদিন ডিএসইতে মোট ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে দর বেড়েছে ৫৩টির, কমেছে ৩০০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টির।