শেয়ারবাজারে আসছে স্থিতিশীলতা ফান্ডের আরও ২৫০ কোটি টাকা

Date: 2023-05-15 21:00:30
শেয়ারবাজারে আসছে স্থিতিশীলতা ফান্ডের আরও ২৫০ কোটি টাকা
ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগের জন্য স্টক মার্কেট মধ্যস্থতাকারীদের প্রায় ২৫০ কোটি টাকা নতুন ফান্ডের যোগান দিচ্ছে।বর্তমানে সিএমএসএফ-এর কাছে ২৫০ কোটি টাকার বেশি নগদ ফান্ড রয়েছে, যা কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের একটি অ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে।সিএমএসএফ কর্মকর্তাদের মতে, শেয়ারবাজারের আগ্রহী মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে ঋণের আবেদন চাইবে এবং আবেদন পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ঋণ হিসাবে ফান্ড বিতরণ করা হবে।শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশণা অনুসারে সিএমএসএফ শেয়ারবাজারের মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে ঋণ বিতরণের জন্য একটি নীতিমাল চূড়ান্ত করেছে। নীতিমালায় সিএমএসএফ থেকে ঋণ পেতে আগ্রহী মধ্যস্থতাকারীদের জন্য করণীয় নির্দেশনা রয়েছে।ঋণের নির্দেশিকাএকজন শেয়ারমার্কেট মধ্যস্থতাকারী একই সময়ে ৫ কোটি টাকার কম বা ২০ কোটি টাকার বেশি ঋণ নিতে পারবে না। সেই হিসাবে সিএমএসএফ অন্তত ৫০টি মধ্যস্থতাকারীকে বর্তমানে ঋণ প্রদান করতে সক্ষম। যা বাজারে নতুন নতুন তহবিল বিনিয়োগ করার সক্ষমতা বাড়াবে।স্টক মার্কেটে বিনিয়োগের জন্য ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই তার ডিলার অ্যাকাউন্টে বা নিজস্ব পোর্টফোলিওতে ঋণের সমতুল্য পরিমাণ অর্থ জমা রাখতে হবে।ঋণের সুদের হার হবে ব্যাংকিং শিল্পে ফিক্সড ডিপোজিট (এফডিআর) হারের ছয় মাসের গড় মূল্যের বেশি।সিএমএসএফ-এর চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) মোঃ মনোয়ার হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এখন শেয়ারবাজারে তহবিলের ঘাটতি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন এই ঋণ মধ্যস্থতাকারীদের বাজারে সক্রিয় হতে সাহায্য করবে।তিনি বলেন, ‘যেহেতু তহবিলটি সম্পূর্ণরূপে জনসাধারণের টাকা, আমরা এর তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে কাজ করছি। জনসাধারণের অর্থ রক্ষা করার জন্য, আমরা মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে শতভাগ জামানত এবং ব্যাংক গ্যারান্টি নিশ্চিত করব।’সিএমএসএফ ঋণের প্রাধিকারনীতিমালা অনুসারে, সিএমএসএফ মধ্যস্থতাকারীদের অগ্রাধিকার দেবে যারা আর্থিক সাক্ষরতা প্রোগ্রামে জড়িত, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে, সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাথে কাজ করে, পরিবেশ রক্ষা করে এবং অন্যান্য কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্ব পালন করে।মধ্যস্থতাকারীরা ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে যখন বাজার তেজিভাবের পরিবর্তে নেতিবাচক হবে। মেয়াদ হবে ১৪০ দিন এবং ঋণের পরিমাণ সফলভাবে ব্যবহার করার পর সিএমএসএফ-কে ঋণের সুদের সম্পূর্ণ অর্থ প্রদানের পরে নবায়নযোগ্য।যেকোন স্টক ব্রোকার বা মধ্যস্থতাকারী, যার একত্রীকৃত গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে (সিসিএ) ঘাটতি রয়েছে, ঝুঁকি ভিত্তিক মূলধন পর্যাপ্ততার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় অথবা গত পাঁচ বছরে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো শাস্তি হয়েছে, তারা ঋণ পাবেন না।এছাড়াও, একজন মধ্যস্থতাকারী বা মধ্যস্থতাকারীর কোনো পরিচালক, যিনি সিআইবি রিপোর্টের মাধ্যমে ঋণ খেলাপি, ঋণের জন্য যোগ্য হবেন না।বিনিয়োগ নির্দেশিকামধ্যস্থতাকারীরা তাদের ক্লায়েন্টদের নীতি অনুযায়ী মার্জিন ঋণ প্রদান করতে পারে। একক ঋণগ্রহীতার এক্সপোজার হবে ঋণের জন্য মোট উপলব্ধ তহবিলের সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ।প্রাপ্ত ঋণের আরেকটি অংশ শুধুমাত্র সেই স্টকগুলিতে বিনিয়োগ করা হবে যেগুলি টানা পাঁচ বছর ধরে ‘এ’ ক্যাটাগরির অধীনে রয়েছে।সিএমএসএফ ফান্ডসিএমএসএফ ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। নতুন ফান্ড ইনজেকশনের মাধ্যমে স্টক মার্কেটকে স্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে এক ছাতার নীচে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ডিভিডেন্ড জমা করছে।চলত বছরের ০২ মে পর্যন্ত সিএমএসএফ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার বেশি সংগ্রহ করেছে। যার মধ্যে ৫২০ কোটি টাকা ক্যাশ ডিভিডেন্ড এবং ৬৯৩ কোটি ১০ লাখ টাকা বোনাস ডিভিডেন্ড।এর আগে সিএমএসএফ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য রাষ্ট্রায়াত্ব বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবি-কে ২২৫ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে।

Share this news