শেয়ার হাতছাড়ায় নারাজ ৯ কোম্পানির বিনিয়োগকারী
টানা পতনের পর ইতিবাচক প্রবণতায় ফিরেছে দেশের শেয়ারবাজার। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) শেয়ারবাজারে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরবাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর বেড়েছে। তবে লেনদেন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ৯ কোম্পানির শেয়ার বিক্রেতা শূন্য হয়ে পড়ে।কোম্পানিগুলো হলোঃ বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, নর্দার্ণ ম্যানুফ্যাকচারিং, খান ব্রাদার্স, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, ইয়াকিন পলিমার, ন্যাশনাল টি, ওরিয়ন ইনফিউশন এবং সোনালী আঁশ।বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলআগের দিন সাবমেরিন ক্যাবলের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৩৪ টাকা ৩০ পয়সা। আজ কোম্পানির লেনদেন শুরু হয় ১৩৭ টাকায়। আর দিন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর হয় ১৪৭ টাকা ৭০ পয়সায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৩ টাকা ৪০ পয়সা বা ৯.৯৮ শতাংশ বেড়েছে। শেয়ারটি লেনদেন শুরুর কিছুক্ষণ পরই বিক্রেতা হারিয়ে যায়। এরপর লেনদেনের বাকি সময় আর বিক্রেতা পাওয়া যায়নি।ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ১৩১ টাকা ২০ পয়সা। আজ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন ১৩৫ টাকা ৫০ পয়সায় শুরু হয়। আর দিন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর হয় ১৪৪ টাকা ৩০ পয়সায়। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৩ টাকা ১০ পয়সা বা ৯.৯৮ শতাংশ বেড়েছে। এই শেয়ারে আজ বিক্রেতা নিখোঁজ ছিল লেনদেন শুরুর কিছু সময় পর থেকে। লেনদেনের বাকি সময় শেয়ারটি বিক্রি করার জন্য কোনো বিনিয়োগকারী বিক্রির অর্ডার দেয়নি।নর্দার্ণ ম্যানুফ্যাকচারিংনর্দার্ণ ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের শেয়ারেও আজ বিক্রেতা নিখোঁজ ছিল। কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয় ১২৪ টাকা। দিন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ১২৯ টাকা ২০ পয়সা। আগের দিন শেয়ারটির ক্লোজিং দর ছিল ১১৭ টাকা ৫০ পয়সায়। অর্থাৎ শেয়ারটির দর ১১ টাকা ৭০ পয়সা বা ৯.৯৬ শতাংশ বেড়েছে।আজ বিক্রেতা না থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে খান ব্রাদার্সের ৯.৯৫ শতাংশ, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের ৯.৯২ শতাংশ, ইয়াকিন পলিমারের ৯.৪০ শতাংশ, ন্যাশনাল টি’র ৮.৭৪ শতাংশ, ওরিয়ন ইনফিউশনের ৮.৭৩ শতাংশ এবং সোনালী আঁশের শেয়ার দর ৮.৭২ শতাংশ বেড়েছে। এই কোম্পানিগুলোর শেয়ারেও আজ বিক্রেতা উধাও হয়ে যায়। যার কারণে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে।বাজার বিশ্লেষকরা বলেন, যখন কোনো কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ে তখন ওই শেয়ার হাত ছাড়া করতে নারাজ তারা। আজ এমন ঘটনাই ঘটেছে। কোম্পানিগুলোর প্রতি আস্থা বেড়েছে বিধায় শেয়ারে বিক্রেতা ছিল না। আর এ কারণে আজ শেয়ারবাজাও ইতিবাচকতায় ফিরে আসে।