সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিউশন
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসে ১ হাজার ৭২ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩২ দশমিক ৪৮ শতাংশ বা ৩৪৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন ছিল ১০ কোম্পানির দখলে। এ ১০ কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।তথ্য অনুসারে, গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ওরিয়ন ইনফিউশনের ১১ লাখ ৭০ হাজার ২৮০টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৫৪ কোটি ৫৪ লাখ ২ হাজার টাকা, যা এক্সচেঞ্জটির মোট লেনদেনের ৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে দশমিক ১৭ শতাংশ।সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের পরিচালনা পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা, যা এর আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৩৭ পয়সায়। এ বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ১৪ টাকা ২২ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৩ টাকা ১০ পয়সায়।এর আগের ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩৭ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৪৬ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ১০ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময় শেষে যা ছিল ১২ টাকা ৬৬ পয়সা।৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯-২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ওরিয়ন ইনফিউশন। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের জন্য ১৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। এর আগের তিন হিসাব বছরেও একই হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। এছাড়া ২০১৪-১৫ হিসাব বছরের জন্য ১৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ওরিয়ন ইনফিউশনের ইপিএস হয়েছে ৬৩ পয়সা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭২ পয়সা। এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৮০ পয়সায়।১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওরিয়ন ইনফিউশনের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৬ কোটি ২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭৬০। এর মধ্যে ৪০ দশমিক ৬১ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ৫ দশমিক ১০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ৫৪ দশমিক ২৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।ডিএসইতে গতকাল ওরিয়ন ইনফিউশন শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৫২৭ টাকা ৪০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৭৬ টাকা থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করেছে।