সাপ্তাহিক চাহিদার শীর্ষে বিমা ও আইটি খাত

Date: 2023-01-21 16:00:16
সাপ্তাহিক চাহিদার শীর্ষে বিমা ও আইটি খাত
সূচক ও লেনদেন বৃদ্ধির মাধ্যমে গত সপ্তাহ পার করেছে দেশের পুঁজিবাজার। সপ্তাহটিতে সূচক বৃদ্ধির সঙ্গে লেনদেন বেড়েছে। তবে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ছিল বিমা ও আইটি খাতের শেয়ার। ফলে খাত দুটিতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে। এছাড়া খাত দুটি লেনদেনের দিক থেকেও প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। দর বৃদ্ধির দিক থেকে এরপর রয়েছে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ার। শেয়ারদর বৃদ্ধির দিক থেকে চতুর্থ স্থানে ছিল সিমেন্ট খাত। এদিকে গত সপ্তাহে উত্থানের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহের শীর্ষে থাকা পাট খাতে পতন হয়েছে। ফলে আলোচ্য খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে।বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে আগ্রহ বেশি থাকা বিমা খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১০ দশমিক ১০ শতাংশ। এ খাতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৩০ শতাংশ বা ৬২৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। খাতটি ডিএসইর লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে ছিল। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে দর বেড়েছে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। এ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ১০ শতাংশ বা ৬৯৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। আলোচিত খাত ডিএসই লেনদেনের শীর্ষে ছিল।গত সপ্তাহে ১ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল ভ্রমণ খাত। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের দশমিক ৪ দশমিক ২০ শতাংশ বা ১৬২ কোটি টাকা। চতুর্থ স্থানে থাকা সিমেন্ট খাতে শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ। এ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৩০ শতাংশ বা ৮৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।এদিকে গত সপ্তাহে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে পাট খাতে। এ খাতে ৩ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের দশমিক ১০ শতাংশ বা ৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারদর কমে ট্যানারি খাত দ্বিতীয় স্থানে ছিল। এছাড়া বস্ত্র, আর্থিক এবং টেলিকমিউনিকেশন খাতের শেয়ারদর কমা বা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন হয়নি।অপরদিকে লেনদেনের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ বা ৪৮৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। খাতটিতে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এরপর চতুর্থ স্থানে থাকা বিবিধ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ বা ৪৭৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এ খাতে দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩ হাজার ৮৫০ কোটি ৫২ লাখ টাকার বা প্রতি কার্যদিবসে গড়ে ৭৭০ কোটি ১০ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগের সপ্তাহে ছিল ২ হাজার ১২১ কোটি ৪১ লাখ টাকার বা গড় ৪২৪ কোটি ২৮ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ১ হাজার ৭২৯ কোটি ১১ লাখ টাকার বা ৮২ শতাংশ বেড়েছে। এর আগের সপ্তাহে ৯৮৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বা ৮৭ শতাংশ বেড়েছিল।সপ্তাহটিতে লেনদেনের মতো মূল্যসূচকেও উন্নতি হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫০ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২৬৫ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৩৬৮ পয়েন্টে ও ২২০৯ পয়েন্টে।এদিকে ডিএসইতে মোট ৩৮৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৪টির বা ২৯ দশমিক ৩১ শতাংশের, কমেছে ৬৮টির বা ১৭ দশমিক ৪৮ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০৭টির বা ৫৩ দশমিক ২১ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটদর।অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১০৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকার। যার পরিমাণ আগের সপ্তাহে ছিল ৪৭ কোটি ৬ লাখ টাকার। অর্থাৎ লেনদেন বেড়েছে ৫৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকার বা ১২২ শতাংশ।সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৩ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৪৭৬ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩০০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯১টির দর বেড়েছে, ৫৪টির দর কমেছে এবং ১৫৫টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

Share this news