সাবমেরিন কেবলের আয় বেড়েছে ১৭%

Date: 2023-08-29 17:00:08
সাবমেরিন কেবলের আয় বেড়েছে ১৭%
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) আয় ও কর পরবর্তী নিট মুনাফা দুটোই সর্বশেষ ৩০ জুন সাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। এর মধ্যে আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ। টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানিটির সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আলোচ্য হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে কোম্পানিটির পর্ষদ।প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে বিএসিসিএলের আয় হয়েছে ৫১৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এর আগের হিসাব বছরে এ আয় হয়েছিল ৪৪১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৭৪ কোটি টাকা বা ১৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২৭৯ কোটি ৩ লাখ টাকা। এর আগের হিসাব বছরে যা হয়েছিল ২৪৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ৩১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বা ১২ দশমিক ৭৯ শতাংশ। ২০২২-২৩ হিসাব বছরে বিএসসিসিএলের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫ টাকা ১৯ পয়সা। এর আগের হিসাব বছরের যা ছিল ১৩ টাকা ৬৭ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮৫ টাকা ৫ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৬৪ টাকা ৪৫ পয়সায় (পুনর্মূল্যায়িত)।২০২২-২৩ হিসাব বছরের জন্য ঘোষিত লভ্যাংশ ও আলোচ্য হিসাব বছরের অন্যান্য এজেন্ডায় শেয়াহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে আগামী ১২ অক্টোবর বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করেছে কোম্পানিটি। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট আগামী ২০ সেপ্টেম্বর। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে জন্য ঘোষিত ৪৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্সে (বিও) পাঠিয়েছে বিএসসিসিএল। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৪৪১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩৪৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২০৫ কোটি ২ লাখ টাকা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৯০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৫ টাকা ১৬ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১১ টাকা ৫৭ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৬৪ টাকা ৬৬ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৫২ টাকা ৪৯ পয়সা। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৩৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল বিএসসিসিএল। ২০১৯-২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের জন্য ১৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন বিএসসিসিএলের শেয়ারহোল্ডাররা। ২০১৭-১৮ হিসাব বছরে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা। আগের হিসাব বছরের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া বিএসসিসিএলের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ১৬৪ কোটি ৯০ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৬ কোটি ৪৯ লাখ ৫ হাজার ৫১০। এর মধ্যে সরকারের কাছে রয়েছে ৭৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫ দশমিক ৫৬, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ২ দশমিক ৭৫ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।ডিএসইতে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ২১৮ টাকা ৯০ পয়সা। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার ২৮৫ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ২৪৫ টাকা ১০৯ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।

Share this news