পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতায় উদ্যোগ নিচ্ছে ডিএসই
ধারাবাহিক মন্দার কবল থেকে পুঁজিবাজারে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরাতে সোমবার জরুরি বৈঠক করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ডিবিএ)।বৈঠকে ডিএসই চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান, পরিচালক মো. শাকিল রিজভী, মোহাম্মদ শাহজাহান, শরীফ আনোয়ার হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এম. সাইফুর রহমান মজুমদার এবং ডিবিএ’র পক্ষে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাজেদুল ইসলাম ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুদ্দিন এবং সদস্য এম. রাজিব আহসান উপস্থিত ছিলেন।বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, কয়েকদিনের মধ্যে ডিএসই ও ডিবিএ বাংলাদেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সঙ্গে বসবে।পুঁজিবাজারের চলমান পরিস্থিতি গুরুত্বসহকারে আলোচনা করা হয় এবং সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ডিএসই ও ডিবিএ’র প্রতিনিধিবৃন্দ বিএসইসির সঙ্গে বাজারের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করবেন।বর্তমান দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পুঁজিবাজার উন্নয়নের বিভিন্ন পলিসি নিয়ে সরকারের নীতি-নির্ধারণী মহলের সঙ্গে আলোচনারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে দেশীয় অর্থনীতিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে। দেশের পুঁজিবাজারেও লেগেছে সেই ধাক্কা। ফলে, ক্রমেই গতি হারিয়ে ফেলছে এই বাজার। তবে, দেশের অর্থনীতি ও পুঁজিবাজার পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের পাশাপাশি সক্রিয় আছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সম্পর্কে সচেতন করার মাধ্যমে পুঁজির যোগান বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত পুঁজিবাজারে গতি ফেরাতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন বিএসইসি।সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গাইডলাইন অনুসরণ করে প্রণীত বিএসইসির বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) ২০২২-২৩ এর আওতায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে। ওই সিদ্ধান্তের আলোকে ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি বিভাগের কাছে চিঠি দিয়েছে বিএসইসির এপিএ টিম।