পুঁজিবাজারের গুরুত্বপূর্ণ ছয় খবর

Date: 2024-10-15 05:00:09
পুঁজিবাজারের গুরুত্বপূর্ণ ছয় খবর
বাজারকে উত্থানে ফেরানোর চেষ্টা ৪ কোম্পানিরআগের দিনের মতো মঙ্গলবারও (১৫ অক্টোবর) পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো মধ্যে ৯৬টির শেয়ার দর বেড়েছে। আর যেসব কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে সেগুলোর মধ্যে ৪টি কোম্পানি বাজারকে উত্থানে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করেছে।কোম্পানিগুলো হলো : ইসলামী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা এবং খান ব্রাদার্স।ইসলামী ব্যাংকআগের দিন ইসলামী ব্যাংকরে শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৫৩ টাকা ৫০ পয়সা। আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ৫৬ টাকা ২০ পয়সায়। অর্থাৎ আজ শেয়ারটির দর ২ টাকা ৭০ পয়সা বা ৫.০৫ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধমে শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির সূচক ১৭.৮৯ পয়েন্ট বেড়েছে। অর্থাৎ আজ শেয়ারবাজারকে উত্থানে ফেরাতে কোম্পানিটি সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে।ব্র্যাক ব্যাংকআগের দিন ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছির ৫১ টাকা ৮০ পয়সা। আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ৫২ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারটির দর ৫০ পয়সা বা ০.৯৭ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির সূচক ১.৯৬ পয়েন্ট বেড়েছে। বাজারকে উত্থানে ফেরাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে কোম্পানিটি।বেক্সিমকো ফার্মাবেক্সিমকো ফার্মার শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৭০ টাকা ৯০ পয়সা। আজ লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর হয় ৭২ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারটির দর ১ টাকা ৫০ পয়সা বা ২.১২ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে শেয়ারবাজারে কোম্পানিটিরি সূচক ১.৯৩ পয়েন্ট বেড়েছে। বাজারকে উত্থানে ফেরাতে কোম্পানিটি তৃতীয় সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে।এদিন বাজারকে উত্থানে ফেরাতে অন্য যেসব কোম্পানি চেষ্টা করেছে সেগুলোর মধ্যে খান ব্রাদার্সের সূচক ১.৩৩ পয়েন্ট বেড়েছে।বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, আজ উত্থানের চেয়ে আড়াই গুণ কোম্পানির দর কমেছে। যেসব কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, সেগুলোর শেয়ার দর না বেড়ে যদি কমে যেত হবে বাজারে আরো বড় পতন দেখা যেত। শেয়ারবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থার জায়গা তৈরি করতে হবে। তবেই বাজার তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যাবে।বাজারের উত্থান ধরে রাখার চেষ্টা ৬ কোম্পানিরআগের কর্মদিবস বড় উত্থান হলেও সোমবার (১৪ অক্টোবর) বড় পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যত কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে তার অর্ধেক কোম্পানির দর বেড়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৬টি কোম্পানি বাজারকে উত্থান ধারায় ধরে রাখার চেষ্টা করেছে।কোম্পানিগুলো হলো : স্কয়ার ফার্মা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, সিঙ্গার বিডি, বিএসআরএম লিমিটেড এবং খান ব্রাদার্স।স্কয়ার ফার্মাআগের দিন স্কয়ার ফার্মার শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২২৫ টাকা ১০ পয়সা। আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ২২৭ টাকা। অর্থাৎ আজ শেয়ারটির দর ১ টাকা ৯০ পয়সা বা ০.৮৪ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে কোম্পানিটির মাধ্যমে সূচক বেড়েছে ৪.৪৮ পয়েন্ট। এর মাধ্যমে কোম্পানি বাজারকে উত্থানে ধরে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছে।অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজআগের দিন কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৬৯ টাকা ৬০ পয়সা। আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ১৭৩ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারটির দর ৪ টাকা ১০ পয়সা। এর মাধ্যমে কোম্পানিটির সূচক বেড়েছে ২.১৯ পয়েন্ট। বাজারকে উত্থানে ধরে রাখতে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে।বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলবাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ১২২ টাকা ৬০ পয়সা। আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ১২৪ টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারটির দর ১ টাকা ৬০ পয়সা বা ১.৩১ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিটির সূচক বেড়েছে ১.২৩ পয়েন্ট। বাজারকে উত্থানে ধরে রাখতে তৃতীয় সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে কোম্পানিটি।বাজারকে উত্থানে ধরে রাখতে অন্য যেসব কোম্পানির ভূমিকা রেখেছে সেগুলোর মধ্যে সিঙ্গার বিডির ০.৭১ পয়েন্ট, বিএসআরএম লিমিটেডের ০.৫৯ পয়েন্ট এবং খান ব্রাদার্সের সূচক ০.৫৬ পয়েন্ট বেড়েছে।বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, কোম্পানিগুলোর মধ্যেমে সূচক অল্প বাড়লেও এসব কোম্পানি বাজারকে উত্থানে ধরে রাখার চেষ্টা করেছে। এসব কোম্পানির শেয়ার দর যদি কমে যেত তবে বাজারে আরো বড় পতন হতে পারতো। কোম্পানিগুলোর বাজারকে আরো বড় পতনের হাত থেকে রক্ষা করেছে।৭ লাখ শেয়ার বিক্রি সম্পন্নশেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের সাউথইস্ট ব্যাংকের এক উদ্যোক্তার ৭ লাখ শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন হয়েছে।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।জানা গেছে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী কোম্পানির উদ্যোক্তা রেহানা কাশেম ৭ লাখ শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন করেছেন।এর আগে গত ৬ অক্টোবর শেয়ারগুলোর বিক্রির ঘোষণা দিয়েছিলেন এই উদ্যোক্তা।ব্লকে পাঁচ কোম্পানির বড় লেনদেনসপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ২২টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মোট ১৮ কোটি ৭৭ লাখ ৯৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হতে দেখা গেছে পাঁচ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- লাভেলো আইসক্রিম, প্রগতি লাইফ ইন্সুরেন্স, বেক্সিমকো, এক্সপ্রেস ইন্সুরেন্স এবং খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আজ এই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৯৭ লাখ টাকারও বেশি।জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লাভেলো আইসক্রিমের। এদিন কোম্পানিটির ৬ কোটি ২ লাখ ৬২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদে ন হয়েছে।প্রগতি লাইফ ইন্সুরেন্সের ৩ কোটি ১৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।আর ২ কোটি ৩৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বেক্সিমকো।অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে- এক্সপ্রেস ইন্সুরেন্সের ৯২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা এবং খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৮৮ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।সর্বনিম্ন দামেও ক্রেতা নেই দুই কোম্পানিরসোমবারের মতো মঙ্গলবারও (১৫ অক্টোবর) পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আড়াই শতাধিকের শেয়ার দর কমেছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২টি কোম্পানির শেয়ার ছাড়াতে আগ্রহ দেখা গেলেও সর্বনিম্ন দামেও তা কিনতে আগ্রহ দেখায়নি কেউ। দুই কোম্পানির শেয়ার ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়ে।কোম্পানি দুইটি হলো : গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল এবং ন্যাশনাল টি।গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালআগের দিন গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৪ টাকা ৮০ পয়সায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার ২২ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদনে শুরু হয়। সর্বশেষ শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ২২ টাকা ৪০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর ২ টাকা ৪০ পয়সা বা ৯.৬৮ শতাংশ কমেছে। শেয়ারটির লেনদেন শুরু হলে কিছুক্ষণ পরই ক্রেতা হারিয়ে যায়। যা লেনদেনের পরবর্তী সময় আর ফিরে আসেনি।আজ লেনদেন শুরু কিছুসময় পরই কোম্পানিটির কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে অবস্থিত কারখানার উৎপাদন বন্ধের খবর প্রকাশ হয়। এরপরেই কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রির জন্য আগ্রহ দেখাতে থাকে বিনিয়োগকারীরা। তবে শেয়ারটি কেনার জন্য বিনিয়োগকারীরা অনীহা দেখায়। সর্বনিম্ন দামেও শেয়ারটি কিনতে চাইনি বিনিয়োগকারীরা।ন্যাশনাল টিআগের দিন শেয়ারটির ক্লোজিং দর ছিল ২৪৬ টাকা ২০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয় ২৩০ টাকা ১০ পয়সা। আর লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ২২৪ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ আজ শেয়ারটির দর ২১ টাকা ৫০ পয়সা বা ৬.৭৩ শতাংশ কমেছে। লেনদেন শুরুর কিছুক্ষণ পরই শেয়ারটি থেকে ক্রেতা হারাতে থাকে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত শেয়ারটিতে আর ক্রেতা ফিরে আসেনি।এফআইডিতে বিএসইসির চিঠি, বিনিয়োগকারী প্রতিবাদপুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে অর্থ মন্ত্রনালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে (এফআইডি) চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত ০৬ অক্টোবর বিএসইসির পাঠানো এই চিঠির প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদ।মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ প্রসঙ্গে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএসইসি যে চিঠি দিয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। এতে যে সব বিষয়বস্তু উল্লেখ করে আমাদের সংগঠনকে দোষারোপ করা হয়েছে, তাতে আমরা (বাপুবিসপ) যারপরনাই ক্ষুব্দ ও চরমভাবে ব্যথিত হয়েছি। অর্থ মন্ত্রণালয়ে বিএসইসির প্রেরিত চিঠির ভাষা প্রয়োগ থেকেই প্রতীয়মান হয় যে, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপপ্রয়াস মাত্র। কারসাজিকারক ও অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে চলমান আইনি ব্যবস্থা ও সংস্কার কার্যক্রমকে আমাদের সংগঠন জোর সমর্থন জানায়। তার আগে বিনিয়োগকারী ও স্টেক হোল্ডারদের আস্থায় আনা ও প্রয়োজনীয় আর্থিক প্রস্তুতি থাকা অত্যাবশ্যকীয় ছিল। সেটা না থাকায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চরম মাত্রায় অনাস্থা কাজ করায় বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উদ্ভব।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এইরুপ পরিস্থিতিতে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং তারিখে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদ, বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজার উন্নয়ন/সংস্কারের স্বার্থে করণীয় প্রসঙ্গে ১২ দফা দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেসব সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীরা এর সুফল পাবেন বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। অথচ আমাদের দাবী সমূহের গভীরতা অনুধাবন না করে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর প্রয়াস লক্ষণীয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখিত ‘সাম্প্রতিক সময়ে বিএসইসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি’ প্রসঙ্গে বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদের বক্তব্য হলো, ২৮ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত ১২ দফার কোথাও বিক্ষোভ কর্মসূচি দেওয়া হয়নি। সুতরাং এর দায়ভার বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদ বহন করে না। কমিশন বলেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন কর্মসূচি পেছনে থাকা ব্যাক্তিরা স্পষ্টভাবে পুঁজিবাজারের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত স্বার্থান্বেষী মহলের। আশীর্বাদপুষ্ট। অথচ ২০১০ সালে ভয়াবহ দরপতনে বিগত ফ্যাসিবাদের দোসর, কারসাজিকারক, অনিয়মে জড়িত ও শেয়ারবাজার লুন্ঠনকারীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদ। কোন প্রকার রক্ত চক্ষুকে পরোয়া এবং কারো সাথে আপোষ করেনি, যার স্বাক্ষী সর্বস্তরের বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট মহল। এর জন্য ফ্যাসিবাদের রোষানলে পড়ে হামলা/মামলার শিকার হতে হয়েছে। ডিএসই কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বছরের পর বছর চালিয়ে এবং পুঁজিবাজারে পুঁজি হারিয়ে আর্থিকভাবে দেউলিয়া হওয়ার পথে বিনিয়োগকারীরা। অথচ সেই বিনিয়োগকারীদেরকেই ভিক্টিম বানানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। কোন প্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়া ঢালাওভাবে দোষারোপ করার সংস্কৃতি বিগত ফ্যাসিবাদী আমলকে স্মরন করিয়ে দেয়।চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ব্যাক্তিরা শত সহস্র শহীদ ও হাজার হাজার পঙ্গু, চোখ হারা, হাত-পা হারা, অঙ্গ-প্রতঙ্গ হারা আহত বীর ভাইদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত, আমাদের ছাত্র-জনতার সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে প্রকৃত বিনিয়োগকারীদেরকে শত্রু চিহ্নিত করে সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর ষড়যন্ত্র কিনা, তা খতিয়ে দেখতে এবং নিজেদের ব্যর্থতার দায়ভার বিনিয়োগকারীদের উপর চাপিয়ে কার স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিকট জোর দাবি জানাই। অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত বিএসইসির চিঠি ইস্যুকারী সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখারও জোর দাবী জনাই। পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয়ে বিএসইসি প্রেরিত চিঠির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে হবে। অন্যথায় এর দায়ভার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড কমিশনকে বহন করতে হবে।

Share this news