পুঁজিবাজারবান্ধব আরেকটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বিএসইসির

এখন থেকে দেশের উভয় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ভ্যানুতে শেয়ারহোল্ডারদের স্বশরীরে উপস্থিতিতে করতে হবে।এ ব্যাপারে গত ১৬ জানুয়ারি একটি নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এজিএম)। বিএসইসির অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর মো. মেহেদী হাসান রনি স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনার বিষয়টি আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম শেয়ারবিজনেস২৪ডট কমকে নিশ্চিত করেন।বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়, সামনে থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির এজিএম ভ্যানুতে হাইব্রিড সিস্টেম ও শেয়ারহোল্ডারদের স্বশরীর উপস্থিতিতে করতে হবে। এছাড়া যেসব বিনিয়োগকারী ভ্যানুতে সরাসরি উপস্থিত থাকতে পারবেন না তারা যাতে এজিএমের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারেন সেজন্য অলাইন বা ডিজিটাল পদ্ধতি রাখার কথাও বলা হয়েছে।এতে আরো বলা হয়, কোম্পানির ঘোষিত সভায়, স্ব স্ব কোম্পানির চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) অথবা চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ও কোম্পানি সেক্রেটারিকে স্বশরীরে উপস্থিত থাকতে বলা হয়।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) কমপক্ষে দুইজন করে সিনিয়র অফিসিয়ালকে এজিএমের ভোটের পুরো সিস্টেম পর্যবেক্ষণ করতে নির্দেশনা দেয় বিএসইসি।একই সঙ্গে ওই নির্দেশনায় বলা হয়, কোম্পানির এজিএমে নির্বাচনের পদ্ধতি ও ভোটের ফলাফল স্টক একচেঞ্জ থেকে অথেনটিকেটেড হতে হবে। একই সঙ্গে কোম্পানির নিয়োগকৃত একজন স্বাধীন স্ক্রটিনাইজার থেকেও অথেনটিকেটেড হতে হবে। ওই অথেনটিকেটেড রিপোর্ট এজিএম হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিএসইসিতে জমা দিতে হবে।এর আগে মহামারি করোনা শুরু হওয়ার পর ২০২১ সালের ১০ মার্চ বিনিয়োগকারীদের স্বশরীরে উপস্থিতির পরিবর্তে হাইব্রিড পদ্ধতি বা ডিজিটাল পদ্ধতিতে এজিএম করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।পরবর্তীতে করোনা মহামারি কমার পর সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তাদের স্বশরীরে উপস্থিতিতে এজিএম করার দাবি জানিয়ে আসছিল।তারা বলে আসছিলো, কোম্পানির এজিএম এতদিন ডিজিটাল পদ্ধতিতে করে আসছিল। এতে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ছাড়াই নিজেদের ইচ্ছে মতো অযৌক্তিক এজিএম পাশ করাতে পারতো। বিএসইসির এই নির্দেশনা জারির ফলে এখন যা সম্ভব নয়।এই নির্দেশনার ফলে বিনিয়োগকারীদের সেই দাবি পূরণ হলো।এজন্য তারা বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে অভিনন্দন জানান। একই সঙ্গে এই সময়োপযোগী ও যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের জন্য তার ভূঁয়সী প্রসংশা করেন।