পতনের চোরাবালিতে ওরিয়নের দুই কোম্পানি
![পতনের চোরাবালিতে ওরিয়নের দুই কোম্পানি](https://stocknewsbd.s3.ap-southeast-1.amazonaws.com/4632/L-1.jpg)
আজ সারাদিন শেয়ারবাজার সূচকের উত্থান-পতনের আলো-ছায়া খেলার শেষে পতন দিয়ে শেষ করেছে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসই এক্স ৯.৫১ পয়েন্ট পতন হয়েছে। আজকের এই পতনকে ত্বরান্বিত করেছে সাম্প্রতিক সময়ে তেজিভাবে থাকা ওরিয়ন গ্রুপের প্রধান দুই কোম্পানি। কোম্পানি ২টি হলো: ওরিয়ন ইনফিউশন এবং ওরিয়ন ফার্মা।কিছুদিন আগেও ওরিয়ন গ্রুপের এই দুই কোম্পানির শেয়ারদর রকেটের গতিতে বেড়েছে। এখন এই দুই শেয়ার সেই একই গতিতে সংশোধন হচ্ছে।আগেরদিন বৃহস্পতিবার ওরিয়ন ইনফিউশনের ক্লোজিং দর ছিল ৩৬৭ টাকা ৫০ পয়সা। আজ সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে দর হয়েছে ৩৪১ টাকা ৮০ পয়সায়। এই হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ২৫ টাকা ৭০ পয়সা বা ৬.৯৯ শতাংশ।কোম্পানিটির শেয়ার দর পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, গত একমাসে সর্বোচ্চ ৫৩০ টাকা ৮০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন ৩৪১ টাকা ৮০ পয়সা পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে। গত এক বছরে সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৭৬ টাকা পর্যন্ত উঠা-নামা করেছে।১৯৯৪ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭৬০ টি। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা।কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড ইতিহাস চমৎকার। ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত অর্থ বছর শেষে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ ক্যাশ এবং ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড প্রদান করেছে। এর আগে ২০২১ সালে ১০ শতাংশ ক্যাশ, ২০২০ সালে ১০ শতাংশ ক্যাশ, ২০১৯ সালে ১৪ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদান করেছিল।ডিভিডেন্ড প্রদানের পর ১ম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬৩ পয়সা। যা আগের বছর ছিল ৭২ পয়সা।সর্বশেষ দর অনুযায়ী কোম্পানিটির পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৩৫.৬৩পয়েন্ট।ওরিয়ন গ্রুপের আরেক কোম্পানি ওরিয়ন ফার্মাও আজ পতনের খাতায় নাম লেখালো। আগেরদিন বৃহস্পতিবার ক্লোজিং দর ছিল ৮৯ টাকা ১০ পয়সা। আজ সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে দর হয়েছে ৮৫ টাকা ৪০ পয়সায়। এই হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৩ টাকা ৭০ পয়সা বা ৪.৩৭ শতাংশ।কোম্পানিটির শেয়ার দর পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, গত একমাসে সর্বোচ্চ ৯৩ টাকা ৮০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন ৭৯ টাকা ৬০ পয়সা পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে। গত এক বছরে সর্বোচ্চ ১৫৬ টাকা ৬০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন ৭৭ টাকা ৬০ পয়সা পর্যন্ত উঠা-নামা করেছে।২০১৩ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ২৩৪ কোটি টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ২৩ কোটি ৪০ লাখ। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ৮৯৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড ইতিহাস চমৎকার। ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত অর্থ বছর শেষে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদান করেছে। এর আগে ২০২১ সাথে ১২ শতাংশ ক্যাশ, ২০২০ সালে ১০ শতাংশ ক্যাশ, ২০১৯ সালে ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদান করেছে।ডিভিডেন্ড প্রদানের পর ১ম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭২ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩০ পয়সা।সর্বশেষ দর অনুযায়ী কোম্পানিটির পিই রেশিও অবস্থান করছে ২৯.৫৮ পয়েন্ট।