পতনের চাপে মিছিল লম্বা হচ্ছে ফ্লোর প্রাইসে

দেশের প্রধান শেয়ারবাজারে গত চার কাযদিবস আগে এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হতে দেখা গেছে। এরপর থেকেই লেনদেনের পাশাপাশি সূচকের পতন অভ্যাহত রয়েছে। শেয়ারবাজারের টানা পতনের চাপে কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর মিছিলে মিছিলে যোগ দিচ্ছে ফ্লোর প্রাইসে। বাজার বিশ্লেষণ করে এমন তথ্যই জানা গেছে।বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ফ্লোর প্রাইস বেধে দিয়েছিলো বাজারের পতন ঠেকাতে। কিছু দিনের জন্য সেই পতন বন্ধ হলেও, তা জোড় করে ধরে রাখতে ইতোমধ্যেই ব্যর্থ হয়েছে সংস্থাটি। যার কারণে ফ্লোর প্রাইসে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরের মিছিল বেড়েই চলেছে।এছাড়াও, গত এক বছর আগেও ডিএসইতে সূচক ও লেনদেনের রেকর্ড উত্থান হয়েছিলো। এরপর টানা এক বছরই শেয়ারবাজার ছিলো নিন্মমূখী। এবারও রেকর্ড লেনদেনের পরে টানা পতন অভ্যাহত রয়েছে। তাহলে কি আবারও বাজার গত এক বছরের গতিতে ফিরে যাচ্ছে? প্রশ্ন সাধারণ বিনিয়োগকারীদের।মঙ্গলবারের বাজার পর্যালোচনা:আজ মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২১.৯৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৪৮৯.০৫ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৭.৪২ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৫.৪৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪১৩.২৪ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৩১৬.৪১ পয়েন্টে।ডিএসইতে আজ এক হাজার ৪৯০ কোটি ০৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১৯৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৩০০ কোটি ১৭ লাখ টাকার।ডিএসইতে আজ ৩৭০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৬০ টির, শেয়ার দর কমেছে ১৩৬টির এবং ১৭৪টির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮.০৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ১৬৩.৭৩ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ২৫৩টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬০টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯৪টির আর ৯৯টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১০৩ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।