পতনের বাজারেও ঘুরে দাঁড়ালো তিন ব্যাংক
![পতনের বাজারেও ঘুরে দাঁড়ালো তিন ব্যাংক](https://stocknewsbd.s3.ap-southeast-1.amazonaws.com/4093/bank.jpg)
নতুন বছরের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩২৯টি কোম্পানি। এরমধ্যে মাত্র ৭টি কোম্পানির দর বেড়েছে। আর দর কমেছে ১৫৮টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৪টির। দর বৃদ্ধি পাওয়া ভাগ্যবান সাতটি কোম্পানির মধ্যে ব্যাংক খাতেরই তিনটি কোম্পানি রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক তফসিলীভুক্ত ব্যাংকগুলোকে বেশ কিছু সুবিধা দিয়েছে। যার কারণে এই ব্যাংকগুলো বিদায়ী বছরে ভালো মুনাফা করেছে। ভালো মুনাফা করায় এই ব্যাংকগুলোর শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের নজর বেড়েছে। ভালো মুনাফা করায় এবছর ব্যাংক খাতের বিনিয়োগকারীরা ভালো ডিভিডেন্ডও প্রত্যাশা করছেন।আজ দর বৃদ্ধি পাওয়া ব্যাংক খাতের এই তিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক এবং ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। এরমধ্যে আজ ফ্লোর প্রাইস ভেঙ্গেছে শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক। বাকি দুটি ব্যাংক আগে থেকেই ফ্লোর প্রাইসের কিছু উপরে লেনদেন হচ্ছে।এই তিন ব্যাংকের মধ্যে আজ সবচেয়ে বেশি শেয়ারদর বেড়েছে শাহজালাল ইসলামি ব্যাংকের। আজ কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২০ পয়সা বা ১.০৬ শতাংশ। আগের দিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইসে ছিল ১৯ টাকা ৮০ পয়সায়। আজ ফ্লোর প্রাইস ভেঙ্গে ক্লোজ হয়েছে ১৯ টাকায়।সর্বশেষ তথ্য মতে, ব্যাংকটির তিন প্রান্তিক বা নয় মাসে মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২২) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৩৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ৩৪ পয়সায়। অর্থাৎ নয় মাসে ব্যাংকটির আয় বেড়েছে ৯৯ পয়সা বা প্রায় ৩০ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৪৩ পয়সা। যা আগের বছল একই সময়ে ছিল ১৮ টাকা ৩৩ পয়সায়।এছাড়াও ৩১ ডিসেম্বর সর্বশেষ ২০২১ সমাপ্ত অর্থ বছরে ব্যাংকটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ এবং ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে।ওয়ান ব্যাংকের শেয়ারদর বেড়েছে ১০ পয়সা বা ০.৯৮ শতাংশ। আগের দিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ১০ টাকা ২০ পয়সায়। আজ ক্লোজ হয়েছে ১০ টাকা ৩০ পয়সায়। এই ব্যাংকটির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা ৩০ পয়সায়।সর্বশেষ তথ্য মতে, ব্যাংকটির তিন প্রান্তিক বা নয় মাসে মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২২) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৫৮ পয়সায়। অর্থাৎ নয় মাসে ব্যাংকটির আয় কমেছে। আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৮০ পয়সা। যা আগের বছল একই সময়ে ছিল ১৮ টাকা ০৬ পয়সায়।এছাড়াও ৩১ ডিসেম্বর সর্বশেষ ২০২১ সমাপ্ত অর্থ বছরে ব্যাংকটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে।ইসলামি ব্যাংকের শেয়ারদর বেড়েছে ১০ পয়সা বা ০.৩০ শতাংশ। আগের দিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৩৩ টাকা ৩০ পয়সায়। আজ ক্লোজ হয়েছে ৩৩ টাকা ৪০ পয়সায়। ব্যাংকটির শেয়ারদরে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারন করা হয়েছে ৩২ টাকা ৬০ পয়সায়।সর্বশেষ তথ্য মতে, ব্যাংকটির তিন প্রান্তিক বা নয় মাসে মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২২) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৭১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ৬৭ পয়সায়। অর্থাৎ নয় মাসে ব্যাংকটির আয় বেড়েছে ০৪ পয়সা। আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ২৮ পয়সা। যা আগের বছল একই সময়ে ছিল ৪০ টাকা ৫৯ পয়সায়।এছাড়াও ৩১ ডিসেম্বর সর্বশেষ ২০২১ সমাপ্ত অর্থ বছরে ব্যাংকটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।