পতনেও শীর্ষ ১০ কোম্পানির দখলে ৩০ ভাগ লেনদেন

Date: 2023-08-18 21:00:06
পতনেও শীর্ষ ১০ কোম্পানির দখলে ৩০ ভাগ লেনদেন
বিদায়ী সপ্তাহে (১৩-১৭ আগস্ট) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সব ধরনের সূচকের পতন হয়েছে। সপ্তাহটিতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।গেল সপ্তাহের চার কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। মোট লেনদেনের ২৯.৬৬ শতাংশই শীর্ষ ১০ কোম্পানির দখলে। সপ্তাহটিতে বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা।ডিএসইর সূত্রমতে, গেল সপ্তায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৯০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তায় লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৭১ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এই সময়ের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৫৮১ কোটি ৮ লাখ টাকা বা ২৮.০৫ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৭২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৪১৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪০৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ২৭টির, দর কমেছে ১৩৫টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২২৯টি কোম্পানির। লেনদন হয়নি ১২টি কোম্পানির শেয়ার। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর উত্থানের চেয়ে পতন ৫ গুন বেশি।সপ্তাহে সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে ডিএসইএক্স ৪২.৪২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৫৪.৮৩ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই৩০ সূচক ৩১.২৭ পয়েন্ট এবং শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৯.৯৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ১২১.৬৭ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৫৮.১০ পয়েন্টে।গত ১০ অক্টোবর পুঁজিবাজারে সরকারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়। এরপর ডিএসইতে ২৫০ বন্ডের লেনদেন হয়। এতে ডিএসইর শেয়ারবাজার মূলধন ২ লাখ ৫২ হাজার ২৬৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা বেড়ে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছিল। এরপর গত ২৭ অক্টোবর শেয়ারবাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা।। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৩৩৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকায়।আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৭৫ হাজার ৪৯৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ১৬৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বা ০.২৮ পয়েন্ট।এদিকে গেল সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১৪.৩৩ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে পিই রেশিও দাঁড়িয়েছিল ১৪.৪১ পয়েন্টে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, শেয়ারবাজারে কোনো কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১৫ পয়েন্ট ছাড়ালেই তা বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।অন্যদিকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসেবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। এই হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি। সেই হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পিই দাঁড়িয়েছে ১৪.৩৩ পয়েন্টে। পিই রেশিও হিসাবে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে।গেল সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির ৬০ শতাংশ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরির ৪০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। মোট লেনদেনের ৩২.২৮ শতাংশ শেয়ার ১০ কোম্পানির দখলে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ‘বি’ ক্যাটাগরির ফু-ওয়াং ফুড শেয়ারে। কোম্পানিটি একাই মোট শেয়ারের লেনদেন করেছে ৮৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা বা ৫.৯৯ শতাংশ।এছাড়া সী পার্ল বিচের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ৪.১১ শতাংশ, সোনালী পেপারের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ৩.২৭ শতাংশ, স্কয়ার ফার্মার (‘এ’ ক্যাটাগরি) ২.৭২ শতাংশ, জেমিনি সী ফুডের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ২.৬৯ শতাংশ, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ২.৩৩ শতাংশ, রুপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ২.২৩ শতাংশ, খান ব্রাদার্স পিপির (‘বি’ ক্যাটাগরি) ২.১৭ শতাংশ, রংপুর ডেইরি এ্যান্ড ফুডের (‘বি’ ক্যাটাগরি) ২.১৫ শতাংশ এবং এমারেল্ড অয়েলের (‘বি’ ক্যাটাগরি) ২ শতাংশের শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

Share this news