পতনেও দাপট বিমার

:দেশের পুঁজিবাজারে সূচক কমার মধ্য দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন বেড়ে সাড়ে ৯০০ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছেছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচক পতনেও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও কেনার চাপ বেশি থাকায় শেয়ারদর বেশি বেড়েছে বিমা খাতের। অন্যদিকে এদিন বিনিয়োগকারীরা বিমুখ ছিলেন আইটি খাতে। ফলে আলোচ্য খাতটিতে এদিন সবচেয়ে বেশি দরপতন হয়েছে।বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল বিমা খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৫৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৪৩টির দর বেড়েছে এবং তিনটির কমেছে। দ্বিতীয় স্থানে ছিল পাট খাতের শেয়ার। খাতটিতে দর বেড়েছে ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল ট্যানারি খাত। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, বিবিধ, সিমেন্ট এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় আইটি খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ। পরের স্থানে থাকা কাগজ ও মুদ্রণ খাতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে থাকা ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ।গতকাল সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৮ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা প্রকৌশলী খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৭ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হওয়া ওষুধ ও রসায়ন খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।ডিএসইর তথ্যমতে, বাজারটিতে ৩৬৮টি প্রতিষ্ঠানের মোট ২২ কোটি ৮৪ লাখ ৮৭ হাজার ২৫৫টি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৯৪৭ কোটি দুই লাখ ৪০ হাজার টাকার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৮৭৭ কোটি ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার। এদিন দাম বেড়েছে ৮৬টি কোম্পানির শেয়ারের, বিপরীতে কমেছে ৯৯টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮৩টির।ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে দশমিক ৫৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৬৫ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৮৩ পয়েন্টে। ডিএস-৩০ সূচক ৩ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১৯৬ পয়েন্টে।অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক ১ দশমিক ২৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭৭৮ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে ২১৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৬টির, কমেছে ৬৮টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৮১টির দাম। দিন শেষে সিএসইতে ১৯ কোটি ২৮ লাখ ৫৪ হাজার ৭৮৯ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১০ কোটি ৫৩ লাখ ৪৮ হাজার ৮৬৪ টাকার শেয়ার।