প্রথমার্ধে লোকসান কমেছে প্রিমিয়ার লিজিংয়ের

চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধের (জানুয়ারি-জুন, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেড। আর গত বছরের তুলনায় প্রথমার্ধে শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির ঋণ, বন্ধক ও অগ্রিম অর্থ থেকে সুদজনিত আয় বেড়েছে, ফলে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসানের পরিমাণ আগের চেয়ে কমেছে বলে কোম্পানিটি জানিয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সেটি অনুমোদন করার পাশাপাশি ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।প্রাপ্ত তথ্যমতে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৬৭ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ২ টাকা ৯৯ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান ৩২ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ২২ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫ টাকা ৪০ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান এক টাকা ১৮ পয়সা কমেছে। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৪৮ পয়সা (লোকসান)। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৯০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ৪ টাকা ৪৯ পয়সা ছিল।কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোঘণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫ টাকা ৯৭ পয়সা (লোকসান)। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ২৩ পয়সা (লোকসান)। এছাড়া এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ১৯ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশের সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ১৬ নভেম্বর বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ সেপ্টেম্বর।এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেয়নি প্রিমিয়ার লিজিংয়ের পরিচালনা পর্ষদ। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ১৮ টাকা ১৮ পয়সা (লোকসান)। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ২ টাকা ১২ পয়সা (লোকসান)। এছাড়া এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছিল ৪ টাকা ৫৯ পয়সা। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৫৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ১৬ টাকা ২৮ পয়সা। এছাড়া ওই হিসাববছরে কোম্পানিটির মোট মুনাফা হয়েছিল সাত কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা।আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানিটি ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানিটির ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৩২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। রিজার্ভ ঘাটতির পরিমাণ ২০৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১৩ কোটি ২৯ লাখ ৭০ হাজার ২১০ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ২৮ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ শেয়ার।