প্রিমিয়ার সিমেন্টের ঋণমান ‘‌ডাবল এ’ ও ‘‌এসটি-টু’

Date: 2023-02-28 16:00:17
প্রিমিয়ার সিমেন্টের ঋণমান ‘‌ডাবল এ’ ও ‘‌এসটি-টু’
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস পিএলসির ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘‌ডাবল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘‌এসটি-টু’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের (জুলাই-ডিসেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও রেটিং প্রকাশের দিন পর্যন্ত কোম্পানিটির প্রাসঙ্গিক অন্যান্য গুণগত তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সর্বশেষ অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) প্রিমিয়ার সিমেন্টের বিক্রি বাবদ আয় হয়েছে ৮৮৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫৮৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ২৯৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা বা ৫০ দশমিক ৪৮ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছে ২৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছিল ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৪৫ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ২৩ পয়সা।সর্বশেষ গত ডিসেম্বর পর্যন্ত লোকসান হওয়ার কারণ হিসেবে প্রিমিয়ার সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পণ্য উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির করণে আলোচ্য সময়ে তাদের অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হয়েছে। এতে কোম্পানির উৎপাদন ব্যয়ও বেড়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যয় বাড়ায় আলোচ্য সময়ে কোম্পানির কর-পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছে। এদিকে চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৫১৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৯৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা। আলোচ্য প্রান্তিকের কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৭৪ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা। চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১১ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৪ টাকা ৬৭ লাখ টাকায়। সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যংশের সুপারিশ করেছে কোম্পানিটির পর্ষদ। ঘোষিত লভ্যাংশ ও আলোচ্য হিসাব বছরের অন্যান্য এজেন্ডায় শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে আগামী ২৮ মার্চ বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করেছে কোম্পানিটি। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ধরা হয়েছে ৬ মার্চ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১০ টাকা ৭০ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ৬ টাকা ১৮ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৬৭ টাকা ১৩ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৭৯ টাকা ৮৩ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯-২০ হিসাব বছরে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। ২০১৭-১৮ হিসাব বছরেও একই হারে নগদ লভ্যাংশ দেয় তারা। এছাড়া ২০১৬-১৭ হিসাব বছরে ২০ শতাংশ নগদ ও ২০১৫-১৬ হিসাব বছরের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

Share this news