প্রাতিষ্ঠানিকদের আগ্রহের তালিকায় মুন্নুর দুই শেয়ার

Date: 2023-05-27 18:00:15
প্রাতিষ্ঠানিকদের আগ্রহের তালিকায় মুন্নুর দুই শেয়ার
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মুন্নু গ্রুপের দুই কোম্পানির শেয়ারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে। যে কারণে গত এপ্রিল মাসে কোম্পানিটি দুটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কোম্পানি দুটি হলো-মুন্নু এগ্রো মেশিনারী ও মুন্নু সিরামিক লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সর্বশেষ তথ্যে এই চিত্র প্রকাশিত পেয়েছে।মুন্নু এগ্রো মেশিনারীডিএসইর সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, ৩১ মার্চ, ২০২৩ তারিখে মুন্নু এ্রগ্রো মেশিনারীতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৫.৯৩ শতাংশ। যা ৩০ এপ্রিল, ২০২৩ তারিখে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৮৭ শতাংশে। এই সময়ে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ধারণ বেড়েছে ০.৯৪ শতাংশ। বিপরীতে এপ্রিল মাসে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ৫৮.৩৭ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৫৭.৪৩ শতাংশে।গত এক বছরে শেয়ারটি সর্বোচ্চ ১ হাজার ১১০ টাকায় কেনাবেচা হয়েছে এবং সর্বনিম্ন ৪৪৭ টাকায় নেমেছে। গেল সপ্তাহে শেয়ারটি ১০১৮ টাকায় লেনদেন হয়েছে এবং টানা তিন দিন পতন হয়ে বৃহস্পতিবার ৯৪৪ টাকা ৪০ পয়সায় ক্লোজিং হয়েছে। যদিও সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসগুলো শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজমান ছিল।সর্বশেষ ২০২২ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর ২০২১ সালে ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ১০ শতাংশ ক্যাশ। ২০১৯ সালে ডিভিডেন্ড কোম্পানিটি ৩৫০ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। ওই বছর কোম্পানিটির শেয়ার দাম উঠেছিল ৫ হাজার ৬০০ টাকায়।কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ২৭ লাখ ৩২ হাজার ৪০০টি। এরমধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৫.৬৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬.৮৭ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ০.০৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫৭.৪৩ শতাংশ শেয়ার।মুন্নু সিরামিকডিএসইর সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, ৩১ মার্চ, ২০২৩ তারিখে মুন্নু সিরামিকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১০.২৩ শতাংশ। যা ৩০ এপ্রিল, ২০২৩ তারিখে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১২.২৯ শতাংশে। এই সময়ে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ধারণ বেড়েছে ২.০৬ শতাংশ। বিপরীতে এপ্রিল মাসে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ৫৮.৩৭ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৫৭.৪৩ শতাংশে।গত এক বছরে শেয়ারটি সর্বোচ্চ ১৪৮ টাকায় কেনাবেচা হয়েছে এবং সর্বনিম্ন ৯৮ টাকায় নেমেছে। গেল সপ্তাহে শেয়ারটি ১২০ টাকায় লেনদেন হয়েছে এবং টানা তিনদিন পতনশেষে বৃহস্পতিবার ১০৯ টাকা ৬০ পয়সায় ক্লোজিং হয়েছে। অর্থাৎ ঊর্ধ্বমুখী বাজারেও শেয়ারটির দর টানা কমেছে।কোম্পানিটি প্রতিবছরই বিনিয়োগকারীদের ন্যুনতম ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়ে আসছে। সর্বশেষ ২০২২ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। তার আগের দুই বছরও ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। ২০১৯ সালে ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ২০ শতাংশ। ওই বছর কোম্পানিটির শেয়ার দাম উঠেছিল ৪৫০ টাকায়।কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩ কোটি ৭৭ লাখ ২৪ হাজার ৩১৭টি। এরমধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪২.৪৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১২.২৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ০.১৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৫.০৮ শতাংশ শেয়ার।

Share this news