পাট খাতের শেয়ারে দর বেড়েছে সবচেয়ে বেশি

Date: 2023-02-11 16:00:13
পাট খাতের শেয়ারে দর বেড়েছে সবচেয়ে বেশি
দেশের পুঁজিবাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে সূচকের পতনের মাধ্যমে গত সপ্তাহ পার করেছে। তবে আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে। এর আগের সপ্তাহে সূচক ও লেনদেন কমেছিল। এ সময়ে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গত সপ্তাহে মাত্র ১ শতাংশ লেনদেন হওয়া পাট খাতের শেয়ারদর বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে খাতটিতে বড় উত্থান হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে খাতটিতে শেয়ারদর সামান্য বেড়েছিল। এতে সপ্তাহজুড়ে খাতটিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির কারণে এ উত্থান হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। দর বৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ার। এরপর তৃতীয় স্থানে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাতের শেয়ার। আলোচ্য সময়ে বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহের শীর্ষে থাকা বিমা খাতে বড় পতন হয়েছে। ফলে আলোচ্য খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে।বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে আগ্রহ বেশি থাকা পাট খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। এ খাতে গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেনের শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ বা প্রায় ৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভ্রমণ খাতে দর বেড়েছে ৩ দশমিক ১০ শতাংশ। এ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ১০ শতাংশ বা ২৩০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এরপর তৃতীয় স্থানে থাকা কাগজ খাতে গত সপ্তাহে দর বেড়েছে ২ দশমিক ৩০ শতাংশ। এ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ২০ শতাংশ বা ২০১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া গত সপ্তাহে টেলিকমিউনিকেশন এবং মিউচুয়াল ফান্ড খাতের শেয়ারদর কমা বা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন হয়নি।এদিকে গত সপ্তাহে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে বিমা খাতে। এ খাতে ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ শতাংশ বা ২৯১ কোটি টাকা। ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ারদর কমে আইটি খাত দ্বিতীয় স্থানে ছিল। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ২০ শতাংশ বা ৫২৫ কোটি টাকা। খাতটি লেনদেনের দিক থেকে গত সপ্তাহে শীর্ষে অবস্থান করে।অপরদিকে গত সপ্তাহে লেনদেনের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ বা ৪৬০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন বেশি হলেও শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। এরপর তৃতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১১ শতাংশ বা ৩৫৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। কিন্তু এ খাতে শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ২৪৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৮৩৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৪০৪ কোটি ১১ লাখ টাকা বা ১৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬৪৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৫৬৭ কোটি ৯১ লাখ টাকার। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪০১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ৪২টির, দর কমেছে ১৩৮টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২০০টি কোম্পানির। লেনদেন হয়নি ২১টি কোম্পানির।সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স পতনে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইএক্স ১১ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২৮৩ দশমিক ৩১ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ২ দশমিক ৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ৩৭১ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই৩০ সূচক ৪ দশমিক ৬২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ২৩৫ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে। এদিকে গেল সপ্তাহের শেষে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১৪ দশমিক ৪৩ পয়েন্টে, যা এর আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ১৪ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও কমেছে শূন্য দশমিক ২ পয়েন্ট।

Share this news