অস্থিরতার শঙ্কায় বেঙ্গল উইন্ডসরের কারখানা বন্ধ

Date: 2024-01-16 16:00:11
অস্থিরতার শঙ্কায় বেঙ্গল উইন্ডসরের কারখানা বন্ধ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মোপ্লাস্টিকস লিমিটেডের কারখানা ১৫ জানুয়ারি রাত ১০টা থেকে বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না আসা পর্যন্ত কোম্পানিটির কারখানা বন্ধ থাকবে। গতকাল স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কারখানা বন্ধের কারণ জানতে চাইলে বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মোপ্লাস্টিকসের কোম্পানি সচিব রাজীব চক্রবর্তী বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ন্যূনতম মজুরি ইস্যুতে ইপিজেডের বেশকিছু কারখানায় সমস্যা হচ্ছে। আমাদের কারখানায়ও এক্ষেত্রে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ কারণে পূর্বসতর্কতা হিসেবে কিছুদিনের জন্য কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।’ বেঙ্গল উইন্ডসর কারখানা ঢাকা রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ডিইপিজেড) অবস্থিত। ২০০৪ সালে এটি প্রতিষ্ঠা হয়। কারাখানাটিতে রফতানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পে ব্যবহৃত হ্যাঙ্গার ও আনুষঙ্গিক উপকরণ উৎপাদন করা হয়। আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৬ পয়সা। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৮৩ পয়সায়।৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫২ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৬৮ পয়সায়। ২০২১-২২ হিসাব বছরে উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে অন্য বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫২ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ৫০ পয়সায়। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২৫ টাকা ৩৫ পয়সায়। ২০২০-২১ হিসাব বছরে উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে অন্য বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ৫০ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ১২ পয়সায়। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি বেঙ্গল উইন্ডসর। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৬ পয়সা। ৩০ জুন ২০২০ শেষে প্রতিষ্ঠানটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২৪ টাকা ৩৯ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২৪ টাকা ৬৩ পয়সা।২০১৯ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল বেঙ্গল উইন্ডসর। আগের হিসাব বছরেও একই হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা। ২০১৭ হিসাব বছরে ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।কোম্পানিটির সর্বশেষ ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘‌ডাবল এ টু’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘‌এসটি-২’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও রেটিং ঘোষণার দিন পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক অন্যান্য গুণগত ও পরিমাণগত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিআরএবি)। ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেঙ্গল উইন্ডসরের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৯১ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৯৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মধ্যে ৫৩ দশমিক ২৩ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ২৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ২০ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

Share this news