ওষুধ ও রসায়ন খাতে মুনাফা কমেছে ১৪ কোম্পানির
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ এবং রসায়ন খাতের ৩৪টি কোম্পানির মধ্যে ২৯টি কোম্পানি চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এরমধ্যে আগের বছরের তুলনায় ১৪টি কোম্পানির মুনাফা কমেছে। অন্যদিকে মুনাফা বেড়েছে ১২টির। তিনটি কোম্পানি লোকসানে রয়েছে। অন্যদিনে এখনও আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি পাঁচটি কোম্পানি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।মুনাফা কমা ১৪টি কোম্পানির মধ্যে রয়েছে ফার্মা এইড, রেনাটা, সিলকো ফার্মা, সিলভা ফার্মা, একমি পেস্টিসাইডস, এ্যাকটিভ ফাইন, এএফসি এগ্রো, বিকন ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মা, ইন্দো বাংলা ফার্মা, জেএমআই হসপিটাল, ওরিয়ন ইনফিউশন এবং ওয়াটা কেমিক্যালস লিমিটেড। এছাড়াও ডিসেম্বর ক্লোজিং রেকিট বেনকিজার তিন প্রান্তিকের অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।জে এম আই হসপিটাল: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫৩ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ৬৪ পয়সা। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির আয় কমেছে ১১ পয়সা।ওরিয়ন ইনফিউশন: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬৩ পয়সা, আগের বছর ইপিএস ছিল ৭২ পয়সা। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির আয় কমেছে ০৯ পয়সা।ফার্মা এইডস: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৯৯ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ৫ টাকা ১৫ পয়সা। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির আয় কমেছে ৩ টাকা ১৬ পয়সা।একমি পেস্টিসাইড: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪৭ পয়সা। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির আয় কমেছে ১৮ পয়সা।রেনেটা: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১১ টাকা ৬২ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ১২ টাকা ৯০ পয়সা। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির আয় কমেছে ১ টাকা ২৮ পয়সা।সিলকো ফার্মাসিটিক্যালস: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৯ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ৩৪ পয়সা। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির আয় কমেছে ০৫ পয়সা।সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৯ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ২৯ পয়সা। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির আয় কমেছে ১০ পয়সা।এ্যাকটিভ ফাইন: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১২ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ২৬ পয়সা। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির আয় কমেছে ১৪ পয়সা।এএফসি এগ্রো: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৫ পয়সা। গত বছর ইপিএস ছিল ২৯ পয়সা। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির আয় কমেছে ১৪ পয়সা।বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯৯ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ১ টাকা ১২ পয়সা। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির আয় কমেছে ১৩ পয়সা।বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ২৪ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ৩ টাকা ২৮ পয়সা। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির আয় কমেছে ০৪ পয়সা।ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৭ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ৩৩ পয়সা। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির আয় কমেছে ১৬ পয়সা।ওয়াটা কেমিক্যালস: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৯ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ১ টাকা ০১ পয়সা। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির আয় কমেছে ৭২ পয়সা।রেকিট বেনকিজার: তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২২) তথা নয় মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯০ টাকা ৫২ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ১০৫ টাকা ২০ পয়সা। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির আয় কমেছে ১৪ টাকা ৬৮ পয়সা।লোকসানে থাকা তিন কোম্পানির মধ্যে রয়েছে এসিআই লিমিটেড, সেন্ট্রাল ফার্মা এবং ফার কেমিক্যালস লিমিটেড।সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ০৮ পয়সা। আগের বছর লোকসান ছিল ০৮ পয়সা।এসিআই: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ৯৪ পয়সা, আগের বছর ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৪২ পয়সা। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৫২ পয়সা।ফার ক্যামিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ০৬ পয়সা। আগের বছর লোকসান ছিল ০৩ পয়সা।এছাড়াও, আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি ৫টি কোম্পানি। এই পাঁচটি কোম্পানির মধ্যে রয়েছে বেক্সিমকো সিনথেটিক্স, গ্লোবাল হেভি, ইমাম বাটন, কেয়া কসমেটিক্স এবং লিব্রা ইনফিউশনস লিমিটেড।