ওরিয়ন ইনফিউশনে চলছে তুঘলকি আমলের চোর-পুলিশ খেলা

Date: 2022-12-18 04:00:17
ওরিয়ন ইনফিউশনে চলছে তুঘলকি আমলের চোর-পুলিশ খেলা
সাম্প্রতিককালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৭৫ শতাংশ কোম্পানি ফ্লোর প্রাইসে আটকে রয়েছে। এনম সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার দর নিয়ে চলছে তুঘলকি আমলের চোর-পুলিশ খেলা।ওরিয়ন ইনফিউশনের সাম্প্রতিক সময়ের শেয়ার দর পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, যখন কোম্পানিটির দর পতন হয় তখন একটানা হল্টেড হয়ে ক্রেতাশূন্য হয় পড়ে। আবার যখন বাড়তে শুরু করে তখন একটানা দর বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রেতাশূন্য পড়ে। একটি কোম্পানির শেয়ার দরে ডানে-বামে হল্টেডের এমন আচরণ দেখে মনে হয় এটা যেন তুঘলকি আমলের চোর-পুলিশ খেলা।গত এক মাসের শেয়ার দর পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ১৫ কার্যদিবসে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার দর একদিন ছাড়া বাকি ১৪ দিনই ডানে অথবা বামে হল্টেড ছিল। গত ১৩ নভেম্বর ২০২২ কোম্পানিটির শেয়ার দর কমতে থাকে। তখন শেয়ারটির দর ৯৫৯ টাকা ২০ পয়সা থেকে একটানা দরপতন হয়ে এবং ক্রেতাশূন্য ও হল্টেড অবস্থায় ৩০ নভেম্বর ২০২২ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪৮৫ টাকা ১০ পয়সায় নেমে আসে। এই হিসাবে গত ১৫ কার্যদিবসে ৪৭৪ টাকা ১০ পয়সা বা ৪৯.৪২ শতাংশ দর পতন হয়।এরপর ০১ ডিসেম্বর ২০২২ এর দর ঊর্ধ্বমুখি হয়ে একটানা ৯ কার্যদিবস দর বেড়ে ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ এর দর ৮৪১ টাকা ৫০ পয়সায় উন্নীত হয়। এই হিসাবে ৯ কার্যদিবসে ৩৫৬ টাকা ৪০ পয়সা বা ৭৩.৪৬ শতাংশ দর বৃদ্ধি পায়।পুনরায় গত ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ থেকে আবার ক্রেতাশূন্য হল্টেড শুরু হয়েছে। গত ২দিন কোম্পানিটির শেয়ার দর ক্রেতাশূন্য ছিল। আজ তারই ধারাবাহিকতায় আজ ৫৪ টাকা বা ৭.৫০ শতাংশ দর পতন হয়ে ৬৬৬ টাকা ৩০ পয়সায় ক্রেতাশূন্য ছিল। এই হিসাবে গত ৩ কার্যদিবসে ১৭৫ টাকা ২০ পয়সা বা ২০.৮১ শতাংশ দর পতন হয়।বিগত ৬ মাসের বাজার দর পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ১৬ জুন ২০২২ কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৮১ টাকা ৪০ পয়সা। এরপর কোম্পানিটির শেয়ার দর একটানা বৃদ্ধি পেয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ এর দর সর্বোচ্চ ৯৭৩ টাকা ৯০ পয়সায় উঠে যায়। এরপর আবার দরপতন আজ ৭২০ টাকা ৩০ পয়সা। এই হিসাবে গত ৬ মাসে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৬৩৮ টাকা ৯০ পয়সা বা ৭৮৪.৮৮ শতাংশ দর বেড়েছে।১৯৯৪ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭৬০ টি। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা।৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত অর্থ বছর শেষে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ ক্যাশ এবং ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড প্রদান করেছে।ডিভিডেন্ড প্রদানের পর ১ম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬৩ পয়সা। যা আগের বছর ছিল ৭২ পয়সা। স্টক ডিভিডেন্ড সমন্বয় হওয়াতে প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির মুনাফা কমেছে।

Share this news