অবশেষে বড় সংশোধনে সী-পার্ল হোটেল
![অবশেষে বড় সংশোধনে সী-পার্ল হোটেল](https://stocknewsbd.s3.ap-southeast-1.amazonaws.com/4814/SEA-PEARL.jpg)
আজ বৃহস্পতিবার সূচকের সামান্য উত্থানে শেষ হলো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসই এক্স বেড়েছে ২.৮৫ পয়েন্ট। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তেজিভাবে থাকা ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের কোম্পানি সী-পার্ল হোটেল অবশেষে বড় সংশোধনে গেল।আজ সংশোধন হলেও শেয়ারটি অব্যাহত গতিতে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে দর বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা শেয়ারটি ক্রয় করতে ভয় পাচ্ছেন। কিন্তু একটি চক্র এই শেয়ারটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীদের মতে, অতি মূল্যায়িত এই শেয়ারটি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার জন্য নিয়ন্ত্রণহীনভাবে কারসাজিকারিরা দর বাড়িয়ে চলেছে। দুর্বল মৌলভিত্তির এই শেয়ারটির দর বহু আগেই অতিমূল্যায়িত হয়ে পড়েছে, যা এখন বিপজ্জক পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে।সী-পার্ল হোটেলের শেয়ার দর পর্যালোচনায় দেখা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ উত্থান প্রবণতায় ছিল। সংশোধন প্রক্রিয়ায় গেলেও কোম্পানি এখনও বছরের সর্বোচ্চ দরেই রয়েছে। কোম্পানিটি দীর্ঘদিন যাবৎ লেনদেনের শীর্ষদশে অবস্থান ধরে রেখেছে। আজ সংশোধন হলেও কোম্পানিটি শীর্ষদশের চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। কোম্পানিটির আজ ৭ লাখ ৭৯ হাজার ১৮৫টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২১ কোটি ৭৪ লাখ ২১ হাজার টাকা।আগেরদিন বুধবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৮৩ টাকা ৮০ পয়সা। আজ সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৭৫ টাকা ১০ পয়সায়। এই হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৮ টাকা ৭০ পয়সা বা ৩.০৭ শতাংশ কমেছে।গত এক মাসের বাজার দর পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, একটানা ঊর্ধ্ব গতিতে থাকা কোম্পানিটির গত ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ কোম্পানিটির দর ছিল ১৮৬ টাকা ৪০ পয়সা। আর আজ দিন শেষে কোম্পানিটির ক্লোজিং দর হয়েছে ২৭৫ টাকা ১০ পয়সায়। এই হিসাবে এক মাসে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৮৮ টাকা ৭০ পয়সা বা ৪৭.৫৮ শতাংশ।গত ছয় মাস আগে ২৭ জুলাই ২০২২ কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল মাত্র ৪৪ টাকা ১০ পয়সা। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার দর সর্বনিম্ন ৪১ টাকা ৭০ পয়সা। আর সর্বোচ্চ ২৮৮ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠা-নামা করেছে।২০১৯ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন মূলধন ২০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ২১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সর্বশেষ ২০২২ সালে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ ক্যাশ, ২০২১ সালে কোম্পানিটি ১ শতাংশ ক্যাশ এবং ২০২০ সালে কোম্পানিটি ১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।সর্বশেষ দর অনুযায়ী কোম্পানিটির পিই রেশিও অবস্থান করছে ৫৪.১৪ পয়েন্টে।