ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজিতে ২১ বিনিয়োগকারী জড়িত

Date: 2023-03-04 16:00:09
ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজিতে ২১ বিনিয়োগকারী জড়িত
সিরিয়াল ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ২১ জন বিনিয়োগকারী বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিএনআইসিএল) শেয়ার দর ৯০ শতাংশ বাড়িয়েছেন। এই ২১ জনের মধ্যে রয়েছেন শেয়ারবাজার কারসাজি চক্রের অন্যতম হোতা আবুল খায়ের হিরুর সহযোগীরা।পাশাপাশি কারসাজিতে জড়িত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে রয়েছেন ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) সাবেক চেয়ারম্যান মুহিউদ্দীন খান আলমগীর এবং টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তদন্ত প্রতিবেদনে বিএনআইসিএল র শেয়ার কারসাজির নেপথ্যে এই ২১ বিনিয়োগকারীর নাম উঠে এসেছে।বিএসইসি র তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ২১ বিনিয়োগকারী নিজেদের মধ্যে সিরিয়াল ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে বিএনআইসিএল শেয়ারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্বিতে সহায়তা করেছেন। সিরিয়াল ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে শেয়ার দর বৃদ্ধিকে সিকিউরিটিজ আইনে অপরাধ হিসেবে দেখা হয়।বিএসসি সম্প্রতি বিএনআইসিএল র শেয়ার নিয়ে কারসাজির দায়ে আবুল খায়ের হিরুর স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান, এ জি মাহমুদ, সাইফ উল্লাহ এবং ডিআইটি কো-অপরেটিভ লিমিটেডকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। যদিও এই চারজন বিএনআইসিএল র শেয়ার লেনদেন করে মুনাফা করেছে প্রায় ৫ কোটি টাকা।শেয়ারকারসাজির প্রক্রিয়া ও ধারাবাহিকতা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এই চার বিনিয়োগকারীর ভূমিকা বেশি ছল। সেজন্য তাদেরকে জরিমানা করা হয়েছে। কারসাজিতে অন্যদের অংশ কম হওয়ায় তাদেরকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিএনআইসিএল র শেয়ার দর ১৭ টাকা থেকে দশগুণ বেড়ে ১৭০ টাকা হয়েছিল।তবে বিএসইসি শুধু ২৯ অক্টোবর থেকে ২৯ ডিসেম্বর সময়ের শেয়ার দর বৃদ্ধি নিয়ে তদন্ত করেছে। আর এই সময় এর শেয়ার দর ৩৭ টাকা ৩ পয়সা থেকে ৯০ শতাংশ বেড়ে ৭১ টাকা হয়েছিল।এই সময় কাজী সাদিয়া হাসান ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ থেকে, সাইফ উল্লাহ এবং এ জি মাহমুদ সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস ও এনএলআই সিকিউরিটিজ থেকে এবং ডিআইটি কো-অপরেটিভ এসবিএল ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট থেকে বিএনআইসিএল র শেয়ারের মোট লেনদেনের একটি বড় অংশ নিজেদের মধ্যে লেনদেন করেছেন। সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে বিড করে তারা শেয়ারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে শেয়ার দর বাড়িয়েছেন।অন্যদিকে, এই সময় বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজে থাকা মুহিউদ্দিন খান আলমগীরের বিও অ্যাকাউন্ট থেকে ৬ লাখ ৭০ হাজার শেয়ার কেনা-বেচা এবং ইবিএল সিকিউরিটিজে থাকা সাকিব আল হাসানের বিও অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১০ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া দ্য প্রিমিয়ার ব্যাংকের বিও অ্যাকাউন্টে ১২ লাখ শেয়ার কেনা হলেও কোনো শেয়ার বিক্রি হয়নি।

Share this news