নতুন পণ্য আনার কাজ করছে বিএসইসি : শেখ শামসুদ্দিন

Date: 2023-10-05 21:00:08
নতুন পণ্য আনার কাজ করছে বিএসইসি : শেখ শামসুদ্দিন
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কমোডিটি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে নতুন পণ্য আনার জন্য কাজ করছে। এ বছরের মধ্যেই হয়তো এ এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উপলক্ষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) আয়োজিত ‘ক্রিপ্টো অ্যাসেট ও ডিজিটাল ফাইন্যান্স’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।সিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন এক্সচেঞ্জটির পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। এ সময় সিএসইর বেশ কয়েকজন পরিচালক আলোচনায় অংশ নেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিএসইর প্রধান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা (সিআরও) মোহাম্মাদ মাহাদি হাসান। তার প্রবন্ধে বিশ্বের পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রে ডিজিটাল ফাইন্যান্স ও ক্রিপ্টো অ্যাসেটস বিষয়ে সচিত্র উপস্থাপনা হকারে বিস্তারিত আলোচনা করেন।বিএসইসি কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, ‘দেশে ক্রিপ্টো অ্যাসেট তৈরি করতে হলে আগে এর পরিবেশ ও বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে হবে। পৃথিবীর প্রায় সব দেশে এটি অবৈধ। কারণ এটি আস্থা দিতে পারে না। ক্রিপ্টো কারেন্সি কোনো মুদ্রা নয়। এটি নতুন একটি প্রডাক্ট। আইওএসকো কিন্তু এটিকে ক্রিপ্টো অ্যাসেট বলছে। আমরা বাংলাদেশে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং ব্যবসার একটি কোম্পানির মাধ্যমে প্রতারণা দেখেছি। কারণ সেটি সম্পর্কে আমরা সচেতন ছিলাম না। ক্রিপ্টো কারেন্সি নিয়ে আমাদের জানতে হবে, শিখতে হবে এবং সচেতন হতে হবে।’তিনি আরো বলেন, ‘দেশে ক্রিপ্টো অ্যাসেট চালু করতে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট, স্মার্টফোন ও রেগুলেটরি পরিবেশ দরকার। গ্লোবাল রেগুলেটরি সিস্টেম মেনে এটি করতে হবে। সেজন্য আমাদের প্রস্তুতি দরকার, যাতে এটির নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়। বর্তমানে বিদ্যমান ব্রোকারেজ হাউজ দিয়ে ক্রিপ্টো অ্যাসেট লেনদেন পরিচালনা করা সম্ভব না। এজন্য দরকার স্মার্ট ব্রোকারেজ হাউজ। বিশ্বের অনেক দেশে ক্রিপ্টো অ্যাসেট লেনদেন করার মতো হাউজ রয়েছে।’শেখ শামসুদ্দিন বলেন, ‘আমরা কমোডিটি এক্সচেঞ্জ নামের একটি পণ্য পুঁজিবাজারে আনার জন্য কাজ করছি। এটি প্রায় শেষ দিকে রয়েছে। এ বছরেই হয়তো কমোডিটি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে লেনদেন শুরু করা সম্ভব হবে। এটি শেষ হলেই আমরা রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্টস ট্রাস্ট নামের একটি নতুন পণ্য আনতে কাজ শুরু করব।’টেকসই অর্থায়ন বিষয়ে বিএসইসি কমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশের বিশাল ইকোনমি রয়েছে। এর পরও কার্বন নিঃসরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ খুব কম দায়ী। তবে এর প্রভাব বাংলাদেশে পড়ছে। এটি নিয়ে আমাদের কাজ করার আছে। আমরা সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। বিএসইসি বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব বন্ড ইস্যু করার চেষ্টা করছে।’স্বাগত বক্তব্যে সিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম ফারুক বলেন, ‘আর্থিক পরিষেবা খাত ডিজিটালাইজেশনের প্রভাবে দ্রুত ত্বরান্বিত হয়েছে। আমাদের দেশে ইনভেস্টরের অভাব এবং বেশির ভাগই ডে ট্রেডার, যারা আইটেম বেজড ব্যবসা করে। সে কারণে কখনো খুব লাভ করে, আবার কখনো খুব লস করে। এক্ষেত্রে মিউচুয়াল ফান্ডের মতো প্রডাক্টকে জনপ্রিয় করতে হবে। এজন্য আমাদের ইনভেস্টর তৈরি করতে হবে।’

Share this news