নগদ অর্থের সংকটে গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস

কারখানা ও সরঞ্জামের সক্ষমতা অতিমাত্রায় হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি কমে যাওয়া এবং ঋণের বোঝা দীর্ঘায়িত হওয়ায় বেহাল অবস্থানে রয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস লিমিটেড। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসা পরিচালনার জন্য নগদ অর্থের জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে কোম্পানিটি। ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিটির নিরীক্ষক আর্টিসান চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস এমন অভিমত ব্যক্ত করেছে। স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গিয়েছে।নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুসারে, সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালসের পণ্য বিক্রি হয়েছে ৪৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ বিক্রি হয়েছিল ৫৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা। সে হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির বিক্রি কমেছে ২০ শতাংশ। তবে সর্বশেষ হিসাব বছরে কোম্পানিটির বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা যা কোম্পানিটির মোট বিক্রির ৩১ শতাংশ। যেখানে এর আগের হিসাব বছরে বিক্রির ২৭ শতাংশ অর্থাৎ ২৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা বকেয়া ছিল। বকেয়া বাড়ার মানে হচ্ছে কোম্পানি পণ্য বিক্রি বাড়াতে অতিরিক্ত ছাড় দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কোম্পানির তারল্য ধরে রাখতে ছাড় দেয়া কমানো প্রয়োজন।সর্বশেষ হিসাব বছরে কোম্পানিটি ১৬ কোটি ৯১ লাখ টাকার গ্যাস ব্যবহার করেছে, যা এর আগের হিসাব বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ কম। আগের হিসাব বছরে ১৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকার গ্যাস ব্যবহার করেছিল কোম্পানিটি। গ্যাস ব্যবহার সামান্য কমলেও কোম্পানিটির পণ্য উৎপাদন কমেছে ১৬ দশমিক ৯০ শতাংশ। সর্বশেষ হিসাব বছরে ২ কোটি ১১ লাখ ৫০ হাজার ৫৫০ টন পণ্য উৎপাদন করেছে কোম্পানিটি। যেখানে এর আগের হিসাব বছরে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৭৫ হাজার ৪৬৬ টন পণ্য উৎপাদন করেছিল। এটা কোম্পানিটির কারখানা ও সরঞ্জামের ক্ষমতা অতিরিক্ত কমে যাওয়াকে নির্দেশ করে। যদি কারখানা ও সরঞ্জামের সক্ষমতা বাড়ানো না হয় তাহলে ভবিষ্যতে কোম্পানিটির ব্যবসায় লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসবে।এদিকে সর্বশেষ হিসাব বছরে কোম্পানিটির বিভিন্ন মেয়াদি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এর মধ্যে স্বল্পমেয়াদি ঋণ ৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা আর দীর্ঘমেয়াদি ঋণ রয়েছে ৬৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরে কোম্পানিটির বিভিন্ন মেয়াদি ঋণ ছিল ৪৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা স্বল্পমেয়াদি ও ৪৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ছিল। সে হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির বিভিন্ন মেয়াদের ঋণ কমেছে ২৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বা ৫৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ।