মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ব্যতিক্রমী দিন!
![মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ব্যতিক্রমী দিন!](https://stocknewsbd.s3.ap-southeast-1.amazonaws.com/5813/mutual-funds-down.jpg)
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (০৭ মার্চ) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর বৃদ্ধি শীর্ষ তালিকায় শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছে সিএপিএিআবিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড। ফান্ডটির ইউনিট আজ সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হয়েছে এবং লেনেদেনের শেষ পর্যন্ত বিক্রেতাশুন্য থাকার রেকর্ড করেছে। এদিন ফান্ডটির দর বেড়েছে ৯.৯০ শতাংশ। দীর্ঘদিন পর মিউচ্যুয়াল ফান্ডের এমন ঝলক দেখতে পেলেন বিনিয়োগকারীরা।বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত দুই বছর যাবত মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো বিনিয়োগকারীদের ভালো ডিভিডেন্ড দিচ্ছে। কিন্তু তারপরও মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো অবিক্রিত অবস্থায় ফ্লোর প্রাইসে অবস্থান করছে। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের প্রতি যেন বিনিয়োগকারীদের যোজন যোজন ফারাক।বর্তমানে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সংখ্যা ৩৬টি। এরমধ্যে সিএপিএিআবিবিএল সহ আজ মাত্র ৩টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ফ্লোর প্রাইসের ওপরে লেনদেন হয়েছে। গত দুই-তিন যাবত এই তিন ফান্ড ফ্লোর প্রাইসের ওপরে লেনদেন করছে।এক সময়ে শেয়ারবাজারে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের আলাদা ক্রেজ ছিল। তখন অনেকেই মিউচ্যুয়াল ফান্ডকে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সমকক্ষ মনে করতো। তখন মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন ছিল চোখে পড়ার মতো। এখন দিন পাল্টে গেছে। এখন মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সেই ক্রেজ বা আকর্ষণ নেই। মিউচ্যুয়াল ফান্ডে এখন চলছে বড় ভাটা। বিশেষ করে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই ফ্লোর প্রাইস আরোপের পর মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন এক রকম থেমেই গেছে। দীর্ঘদিন মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো ফ্লোর প্রাইসে যেন অবিক্রিত অবস্থায় ঘুমাচ্ছে।তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ভবিষ্যত নিয়ে এখনো আশাবাদী। তাঁরা বলছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিষয়ে কিছু ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে মিউচ্যুয়াল ফান্ড ঘুরে দাঁড়াতে পারে এবং হারানো ঐতিহ্য কিছুটা হলেও ফিরে পেতে পারে।তাঁরা বলছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মিউচ্যুয়াল ফান্ড শেয়ারবাজারে নিয়ামক হিসাবে কাজ করছে। সেসব দেশে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের আকারও অনেক বড় এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতাও রাখে। কিন্তু আমাদের দেশে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অবস্থান সম্পূর্ণ বিপরীত। এখানে মার্কেট মেকারে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের কোনো ভূমিকা নেই। যে কয়টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড রয়েছে, সেগুলোর ব্যবস্থাপনার উপরও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কোনো নজরদারি বা তদারকি নেই।